আন্তর্জাতিক সংবাদ

0

মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসছে জাতিসংঘ
লোকসমাজ ডেস্ক॥ সেনা অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার জরুরি বৈঠকে বসতে যাচ্ছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। বৈঠকটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে। এটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক হবে। খবর: এএফপি। এর আগে সোমবার নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা বৈঠকের বিষয়টি অনুমোদন করেন। বৈঠকে মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ দূত ও সুইজারল্যান্ডের কূটনীতিক ক্রিস্টিন শ্রেনার বার্গেনার পরিস্থিতি নিয়ে বিবৃতি দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। সোমবার মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মতা দখল করেছে। দেশটির স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি ও প্রেসিডেন্ট উ উইন মিন্টসহ মতাসীন দলের নেতাদের আটক করা হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাস থেকে নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছে যুক্তরাজ্য। এ সপ্তাহেই মিয়ানমারের সঙ্গে বৈঠকের পরিকল্পনা ছিল দেশটির। তবে পরিস্থিতি বিবেচনা করে বৈঠকটি বাতিল করা হয়েছে। এদিকে মতা হস্তান্তর না করলে এবং সু চিকে মুক্তি না দিলে মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে অবরোধের হুমকি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য দায়িত্ব নেওয়া প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সোমবার সকালে জরুরি অবস্থা জারি করে সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানের হাতে মতা হস্তান্তরের কথা জানিয়েছে সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীর মালিকানাধীন টেলিভিশনে এক ভিডিও ভাষণে সিনিয়র জেনারেল মিং অং হাইং জানান, গত বছরের সাধারণ নির্বাচনে কারচুপির জবাবে সরকারের জ্যেষ্ঠ নেতাদের তারা আটক করা হয়েছে।

কৃষকদের ঠেকাতে দিল্লিতে নজিরবিহীন আয়োজন
লোকসমাজ ডেস্ক॥ বিক্ষুব্ধ কৃষকদের ঠেকাতে দিল্লিতে ভারত সরকারের সতর্কতা আগের চেয়ে জোরদার হয়েছে। নেওয়া হয়েছে নজিরবিহীন সব পদপে। দেশটির গণমাধ্যম এভাবে বর্ণনা দিচ্ছে, রাস্তা জুড়ে থরে থরে সাজানো কংক্রিটের ব্যারিকেড। ৩-৪ স্তরে কাঁটাতারের বেড়া। তার ঠিক পেছনেই আবার কংক্রিটের ব্যারিকেডের মাঝে ঢালাইয়ের কাজ চলছে। প্রতিটি ব্যারিকেডের ঠিক পরে রাস্তায় পুঁতে রাখা হয়েছে সার সার গজাল ও পেরেক। তিন-চার স্তরের ব্যারিকেডের পেছনে আড়াআড়িভাবে দাঁড় করানো পুলিশের গাড়ি ও বাস। তার সঙ্গে পুলিশের সতর্ক টহল। সিঙ্ঘু, টিকরি ও গাজিপুর-দিল্লির ৩ সীমানাকে এভাবেই নিরাপত্তার দুর্গে পরিণত করে ফেলা হয়েছে। দেখে মনে হতে পারে, এ যেন দুই বিবদমান দেশের আন্তর্জাতিক সীমান্ত। গাজিপুর-মেরঠ হাইওয়ে ধরে উত্তরপ্রদেশ থেকে কৃষকেরা দিল্লিতে যাতে ঢুকতে না পারে, তার জন্য সেই হাইওয়ের ওপর ৪ স্তরের নিরাপত্তার দেয়াল তোলা হয়েছে। দিল্লি-হরিয়ানা সীমানায় হাইওয়েতে অস্থায়ী ইট, সিমেন্টের দেয়াল তুলে দেওয়া হয়েছে। সংবাদমাধ্যম আরও বলছে, গাজিপুর সীমানাকে দেখে মনে হবে যেন সেখানে পুলিশ প্রশিণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। কয়েকশ’ পুলিশ এবং র‌্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের সদস্যরা সর্বণ নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছেন। নজরদারি চালাতে ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। টিকরি সীমানাতেও একই ছবি ধরা পড়েছে। বেশ কয়েক স্তরে নিরাপত্তার দেয়াল তোলা হয়েছে। রাস্তার ওপর বিছিয়ে দেওয়া হয়েছে পেরেক ও গজাল। যাতে কৃষকেরা ট্র্যাক্টর নিয়ে এগোতে গেলে সেখানেই আটকে যান। ২৬ জানুয়ারির ঘটনার পর আর কোনো ঝুঁকি নিতে চাইছে না দিল্লি প্রশাসন। ওই দিন ব্যারিকেড দেওয়ার পরেও তা ভেঙে ফেলেছিল আন্দোলনকারী কৃষকেরা। ঢুকে পড়েন লাল কেল্লায়। শনিবার থেকে ভারত জুড়ে ‘চাকা জ্যাম’ এবং আরও বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলো। ২৬ জানুয়ারির ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে, তাই নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মুড়ে ফেলা হয়েছে ওই ৩ সীমানাকে। এই ৩ জায়গাতেই দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকেরা।

মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান নিয়ে চীনের সতর্ক প্রতিক্রিয়া
লোকসমাজ ডেস্ক॥ মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর মতা দখলের ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী দেশ চীন খুবই সতর্ক প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। বিবিসির এক খবরে বলা হয়, চীন সরকারের প থেকে এখনও পর্যন্ত আলাদাভাবে কোনো বক্তব্য বা বিবৃতি দেয়া হয়নি। তবে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র তাদের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে সংপ্তি এবং সতর্ক প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, ‘মিয়ানমারের ঘটনাবলির দিকে চীন নজর রাখছে, এবং ঘটনার বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছে।’ সোমবার ভোরে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। দেশটির মতাসীন দলের নেত্রী অং সান সু চি, মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট ও আরও কয়েকজন মন্ত্রীকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে সু চি সরকারের ২৪ জন মন্ত্রী, উপমন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে নতুন ১১ জন মন্ত্রী নিয়োগ করা হয়েছে। চীনা মুখপাত্র বলেন, ‘চীন মিয়ানমারের বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী এবং আমরা আশা করি দেশের সাংবিধানিক এবং আইনি কাঠামোর মধ্যে মিয়ানমারের বিভিন্ন প তাদের মতভেদ দূর করবে এবং রাজনৈতিক এবং সামাজিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে।’