আ. লীগ নেতাকে নির্যাতন ও দলীয় কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর অভিযোগে স্ব-রাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কমিটির তদন্ত

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরে পুলিশ সদস্য ইমরানকে নির্যাতনকে কেন্দ্র করে পুলিশের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদ হাসান বিপুকে মারপিট এবং একই দলীয় কয়েকজন নেতার বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগের গতকাল রোববার তদন্ত হয়েছে। স্ব-রাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গঠিত একটি তদন্ত টিম দিনভর যশোর সার্কিট হাউসে এ বিষয়ে তদন্ত কার্যক্রম চালায় বলে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে। তবে কার্যক্রম বিষয়ে পুলিশের দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার একটি সূত্র জানায়, স্ব-রাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গঠিত ৩ সদস্যের কমিটিতে ছিলেন যুগ্ম সচিব বশির উল্লাহ, উপ সচিব তাহমিনা বেগম ও খুলনার পুলিশ সুপার শফিউল্লাহ। রোববার সকাল থেকে দিনভর এই কমিটির সদস্যরা যশোর সার্কিট হাউসে অবস্থান করে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেন। আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানায়, তদন্ত কমিটির সদস্যরা আক্রান্ত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বক্তব্য শোনেন। পুরাতন কসবা কাঁঠালতলার একটি প্রিন্টিং প্রেসের কর্মীদেরও বক্তব্য শোনা হয়। আক্রান্ত যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও ৭ নম্বর ওয়র্ডের কাউন্সিলর গোলাম মোস্তাফা জানান, ‘সেখানে গণশুনানি হয়েছে। তিনি তার বাড়ি আক্রান্তের বিষয়ে তদন্ত কমিটিকে বলেছেন। ভাঙচুরের সাথে জড়িতদের কাউকে চিনতে না পারলেও স্থানীয় একটি কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের অফিসের সিসি ক্যামেরায় ধারণ করা ফুটেজে পোশাক পরা পুলিশ যেতে দেখেছেন এ বিষয়টি কমিটিকে বলেছেন।’ তিনি আরও বলেন, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বিপুর বক্তব্যও শুনেছেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা। তবে মাহমুদ হাসান বিপু কী বলেছেন তা তিনি জানেন না। এছাড়া আক্রান্ত দৈনিক সমাজের কথার চাকলাদার প্রিন্টিং প্রেসের দুই কর্মচারীও তদন্ত কমিটির কাছে তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন।
এদিকে স্ব-রাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির কার্যক্রম বিষয়ে যশোরের পুুলিশের কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগের জন্য মোবাইল ফোন করা হয়। কিন্তু কেউই কল রিসিভ না করায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। কমিটির সদস্য খুলনার পুলিশ সুপার শফিউল্লাহর কাছে সাংবাদিকরা মোবাইল ফোন করলে তিনি রিসিভ না করায় তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, গত ১১ জানুয়ারি রাতে শহরের পুরাতন কসবাস্থ শহীদ মিনারে পুলিশ সদস্য ইমরানকে মারপিট এবং তাকে অপহরণ করে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে ক্ষমতাসীন দলের উচ্ছৃংখল কর্মীদের বিরুদ্ধে। এরই জের ধরে আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদ হাসান বিপুকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে নির্যাতন করে বলে ওই নেতার অভিযোগ। এছাড়া একই রাতে আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাকর্মীর বাড়ির ভাঙচুর করে বলে আক্রান্তরা অভিযোগ করেন।