কপিলমুনিতে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশা উপেক্ষা চলছে বোরো আবাদ

0

কপিলমুনি (খুলনা) সংবাদদাতা॥ পাইকগাছা উপজেলায় তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার মধ্যেও কৃষকরা পুরোদমে বোরোর আবাদ করছেন। তবে শীত-কুয়াশার কারণে বোরোর বীজতলা ও রোপনকৃত চারা টিকিয়ে রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। বীজতলা টিকিয়ে রাখতে সব রকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। বিকেল থেকে পরের দিন সকাল ৯-১০টা পর্যন্ত পলিথিন বা ত্রিপল দিয়ে ঢেকে রেখে এবং পানি বদল করে বীজতলা বাঁচিয়ে রাখতে চেষ্টা করছেন তারা। ফলে বোরো আবাদ সম্পন্ন করতে সময় বেশি লাগছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় ৪ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে আবাদের ল্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৪ হাজার হেক্টর জমিতে বোরোর চারা রোপণ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সম্পূর্ণ জমিতে বোরো রোপণ সম্পন্ন হবে বলে কৃষি অফিস জানিয়েছে। বোরো আবাদের জন্য ২৮০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রিড ৬৫ হেক্টর ও উফশি ২১৫ হেক্টর। জলবায়ু ও আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে উপকূল অঞ্চলের কৃষি কাজ অন্য এলাকা থেকে এক থেকে দেড়মাস পরে শুরু হয়। এর ফলে অন্য এলাকার সাথে উপকূলীয় এলাকার চাষাবাদে ব্যবধান তৈরি হচ্ছে। সবমৌসুমেই চাষাবাদ দেরিতে শুরু হয়। এখনো আমন ধান কাটা চলছে বলে জানা যায়। ধান কাটার পর এসব তে বোরো আবাদের জন্য প্রস্তুত করা হবে। তাছাড়া বৈরী আবহাওয়ার সাথে মোকাবেলা করে ফসল লাগাতে হয়। উপজেলার পুরাইকাটীর কৃষক ফারুক হোসেন বলেন, তীব্র শীত ও কুয়াশায় ধানের চারা কিছুটা লাল হচ্ছে। পলিথিন দিয়ে ঢেকে, পানি বদলসহ নানারকম পরিচর্যা করে বীজতলা টিকিয়ে রাখতে হচ্ছে। এ ব্যপারে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জানান, শীত ও কুয়াশার কারণে কৃষকদের বীজতলা ঢেকে রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া প্রতিদিন পানি বদল করার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি কৃষি অফিস থেকে সব রকম সহযোগিতা করা হচ্ছে।