বাগআঁচড়ায় শিশু চুরির ঘটনায় আটক নারীর স্বীকারোক্তি

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া থেকে শিশু তাহসিন চুরির ঘটনায় আটক সালমা খাতুনকে (৩২) রোববার পিবিআই আদালতে সোপর্দ করলে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মাহাদী হাসান তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই জানায়, গত ২৮ ডিসেম্বর মোছা. জান্নাতুল নামে এক নারীর শার্শার গয়ড়া বাজারের ‘রমজান কিনিকে’ সিজারের মাধ্যমে একটি পুত্র সন্তানের (তাহসিন) জন্ম হয়। পরে তিনি সেখান থেকে সন্তানসহ বাড়ি ফিরে আসেন। এরপর গত ১ জানুয়ারি সালমা খাতুন নামে অভিযুক্ত ওই নারী বোরকা পরিহিত অবস্থায় তাদের বাড়িতে গিয়ে বলেন,‘যাদের নতুন বাচ্চা হয়েছে তাদেরকে সরকার তিন কিস্তিতে ৩০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করবে’। এ ঘটনার পর গত ২০ জানুয়ারি সকালে ওই নারী ফের মোছা. জান্নাতুলদের বাড়িতে গিয়ে শিশুটির খোঁজ করেন। এক পর্যায়ে তিনি কৌশল অবলম্বন করে অনুদানের টাকা দেওয়ার কথা বলে শিশুটিসহ তার মা মোছা. জান্নাতুল ও দাদা জহুর আলীকে বাগআঁচড়ায় নিয়ে আসেন । সেখানে তারা একটি হোটেলে নাস্তা খাওয়ার সময় সামলা খাতুন শিশুটিকে কোলে নেন এবং এক পর্যায়ে তাকে নিয়ে কৌশলে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় শিশুটির পিতা আশরাফুল ইসলাম শার্শা থানায় একটি মামলা করেন। মামলার প্রেক্ষিতে পিবিআই যশোর জেলা ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার রেশমা শারমিনের ইনসপেক্টর আব্দুস সালাম ও এসআই জিয়াউর রহমান নানা তথ্যের ভিত্তিতে গত শনিবার রাতে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার উত্তর সোনাবাড়িয়া গ্রামে অভিযান চালান। এ সময় সেখান থেকে চুরি যাওয়া শিশু তাহসিনকে উদ্ধার এবং জড়িত সালমা খাতুন ও তার শ্বশুর লুৎফর গাজীকে আটক করেন পিবিআই কর্মকর্তারা। সামলা খাতুনের স্বামীর নাম মিলন হোসেন। পরে উদ্ধার হওয়া শিশুটিকে তার মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরদিন রোববার আটক সালমা খাতুনকে আদালতে সোপর্দ করা হলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।