রপ্তানির জন‌্য এশিয়ার বাজারকে গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ করোনার নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় রপ্তানির ক্ষেত্রে এশিয়া অঞ্চলের বাজারের প্রতি বেশি নজর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (ডিসিসিআই)।শনিবার (২৩ জানুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে এ পরামর্শ দেন ডিসিসিআই’র সভাপতি রিজওয়ান রাহমান। এ সময় সমসাময়িক অর্থনীতি বিষয়ে ১১টি এজেন্ডার পাশাপাশি ২০২১ সালে ডিসিসিআই’র কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে করোনা পরিস্থিতিতে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা নিয়ে করপোরেট করের হার কমানোর বিষয়টি বিবেচনার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ডিসিসিআই।
ডিসিসিআই’র সভাপতি বলেন, ‘আমাদের উৎপাদিত পণ্যে বেশিরভাগই রপ্তানি হয় আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে, যারা করোনা মোকাবিলায় বেশ কঠিন চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতি আরও দীর্ঘস্থায়ী হলে এসব অঞ্চলের দেশে আমাদের রপ্তানি কমে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। তাই আমাদের এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলোর প্রতি আরও বেশি নজর দিতে হবে।’সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিসিসিআই’র সভাপতি বলেন, ‘সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের ৫৪ দশমিক ১৩ শতাংশ ইতোমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। আশা করি, সামনের দিনগুলোতে এটি আরও দ্রুত গতিতে উদ্যোক্তাদের মাঝে বিতরণ করা সম্ভব হবে। এ ঋণ বিতরণ প্রক্রিয়া সহজ করতে হবে।’
দেশের কুটির ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সহায়তার লক্ষ্যে একটি বিশেষ ব্যাংক অথবা এসএমই বন্ড প্রবর্তন প্রস্তাব দিয়েছে ডিসিসিআই। এছাড়া, দেশের এসএমই খাতের সার্বিক উন্নয়নে এসএমই নীতিমালার পরিবর্তে ‘এসএমই ডেভেলপমেন্ট অ‌্যাক্ট’ প্রবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মাধ্যমে এ খাতের প্রতিবন্ধকতা তুলে ধরা সম্ভব হবে বলে মনে করে ডিসিসিআই।
রিজওয়ান রাহমান বলেন, ‘করোনার কারণে বিশ্বব্যাপী বৈদেশিক বিনিয়োগ কমেছে প্রায় ৫০ শতাংশ। বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ পরিস্থিতিও রাতারাতি পরিবর্তন হবে না। এ অবস্থায় দেশের বিনিয়োগ পরিস্থিতি উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির লক্ষ্যে বৈদেশিক বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রদত্ত সুবিধা স্থানীয় উদ্যোক্তাদের দেওয়া যেতেপারে।’
ডিসিসিআই’র ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এন কে এ মবিন, সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন, পরিচালক মো. শাহিদ হোসেন, গোলাম জিলানী, হোসেন এ সিকদার এবং নাসিরউদ্দিন এ ফেরদৌস সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।