আবারও বেড়েছে চালের দাম

0

শেখ আব্দুল্লাহ হুসাইন ॥ সরকার পরিকল্পনা নেয়ায় চালের দাম কমলেও আমদানি হতে দেরি হওয়ার কারণে বাজারে আবারও দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। এদিকে প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় ভোজ্যতেলের দাম বাড়ার পর শীত কমতে থাকায় দামও কমে আসছে। আমন ধানের বাম্পার ফলন হলেও মিল মালিক ও সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কারণে বাজারে চালের দাম বাড়তে থাকায় সরকার শুল্ক কমিয়ে দিয়ে চাল আমদানির পরিকল্পনা করে। আর এই খবরেই বাজারে চালের দাম আকস্মিভাবে কমতে থাকে। কিন্তু আমদানি হতে দেরি হওয়ার সুয়োগে আবারও বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সিন্ডিকেট চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। মাত্র ৪-৫ দিনের ব্যবধানে সবরকম চালের কেজিতে ২ টাকা করে বেড়েছে।
গতকাল শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) যশোর বড় বাজার চাল বাজার ঘুরে দেখা গেছে, স্বর্ণা ধানের চাল বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৪০ থেকে ৪২ টাকা, আটাশ ধানের চাল বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৪৮ থেকে ৫২ টাকা, মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৫৬ থেকে ৫৮ টাকা, বাংলামতি চাল বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৬০ থেকে ৬২ টাকা, কাজললতা চাল বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৪৮ থেকে ৫২ টাকা। এসব চালের দাম ৪-৫ দিন আগেও প্রতি কেজিতে ২ টাকা কম ছিল। খুচরা চাল ব্যবসায়ী, কৃষক ও সরকারি সূত্রে জানা গেছে, এবার আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। তারপরও বড় ব্যব্সায়ীরা চালের দাম কমার পরিবর্তে সিন্ডিকেট করে বাড়িয়ে চলেছেন। এই পরিস্থিতিতে সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় এবং শুল্কও কমিয়ে দেয়। সরকারের এই সিদ্ধান্তে লোকসানের আশঙ্কায় বাজারে তারা আকস্মিভাবে চালের দাম কমিয়ে দেন। কিন্তু চাল আমদানিতে দেরি হওয়ার কারণে আবারও ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট সুয়োগ নেয়া শুরু করেছে। তারা আবারও বাজারে প্রতি কেজি চালের দাম ২টাকা করে বাড়িয়ে দিয়েছে। এদিকে, যশোর বাজারে ভোজ্যতেলের দাম কমতে শুরু করেছে। গতকাল শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) বড় বাজারে দেখা গেছে খোলা সয়াবিন তেলে প্রতি কেজিতে ২-৩ দিনে অন্তত ৭ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত কমেছে। এদিন খুচরা খোলা তেল ব্যবসায়ী রবিন ব্যানার্জি সয়াবিন তেল প্রতি কেজি ১২০ টাকা, সুপার সয়াবিন তেল প্রতি কেজি ১১০ টাকা, পাম সয়াবিন তেল প্রতি কেজি ১০২ টাকা সরিষার তেল প্রতি কেজি ১৪০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। তিনি জানান, গত সপ্তাহে (১৫ জানুয়ারি) তিনি সয়াবিন তেল ১২৫ টাকা, সুপার তেল ১১৫ টাকা, পাম তেল ১১০ টাকা ও সরিষার তেল ১৪০ টাকায় বিক্রি করেছিলেন। আর তিন সপ্তাহ আগে সয়াবিন তেল ১০৬ টাকা, সুপার তেল ৯৭ টাকা আর পাম তেল ৯৫ টাকায় বিক্রি করেছিলেন। প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছিল। এখন শীত কমছে সয়াবিন তেলের দামও কমে এসেছে। তিনি আরও জানান, সামনের দিনগুলোতে সয়াবিন তেলের দাম আরও কমে আসবে। খুচরা ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা জানান, শীতকালে পাম সয়াবিন তেল জমে যায়। সহজে সয়াবিন তেলে মেশাল/ভেজাল দেয়া যায় না। এ কারণে সয়াবিন তেলের দাম শীতকালে বেড়ে যায়। আর সয়াবিন তেলের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার সুযোগটা নেন মিল মালিকরা। তারা শীতকালে সয়াবিন তেলে জমে যাওয়া পাম তেল মেশাতে পারেন না বলে দাম বাড়াতে থাকেন। তবে শীত চলে গেলে পাম তেল স্বাভাবিক হয়ে আসে, সহজেই সয়াবিন তেলে ভেজাল দেয়া যায় ,এ কারণে দামও কমে আসে।কিৎসাকেন্দ্র-লোকসমাজ