‘খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃত্ববাদী রাজনৈতিক চর্চা করেছে’

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানানোর জেরে তিন শিক্ষক ও দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃত্ববাদী রাজনৈতিক চর্চা করছে বলে দাবি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। অবিলম্বে শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার এবং শিক্ষকদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক অত্যাচার বন্ধ করে তাদের স্বপদে বহাল রাখার দাবিও জানিয়েছে তারা। বৃহস্পতিবার দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৬ শিক স্বারিত এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত বছর জানুয়ারি মাসে শিক্ষার্থীরা আবাসিক সঙ্কট সমাধানসহ কিছু বিষয়ে দাবি জানিয়ে ছিলেন। সে দাবির সঙ্গে সংহতি জানানোয় শিক্ষকরা কর্তৃপরে রোষানলে পড়েন। এর ধারাবাহিকতায় শিক্ষকদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়, যার প্রতিবাদ আমরা জানিয়ে ছিলাম। এবার গত ১৮ জানুয়ারি কর্তৃপক্ষ ওই তিন শিককে চূড়ান্ত নোটিশ পাঠায়। এবারের নোটিশ গুরুতর- তাদের চাকরি থেকে অপসারণ কেন করা হবে না সে বিষয়ে, উত্তর দেওয়ার যথেষ্ট সময়ও দেওয়া হয়নি শিকদের।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, গত কয়েকমাসে সংঘটিত ঘটনার প্রেক্ষিতে এটাই প্রতীয়মান যে, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই তিন শিককে প্রতিহিংসা পরায়ণভাবে শিকতা পেশা থেকে সরানোর চেষ্টা করছেন। শিার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনের (আবাসন-সংকট সমাধানসহ অন্যান্য দাবি-দাওয়া) প্রতি সংহতি প্রকাশ যেকোনো শিক্ষকের সাধারণ কর্তব্যবোধের পরিচায়ক; আর ওই শিক্ষকবৃন্দ সেটাই করেছিলেন। সাধারণ শিকসুলভ আচরণকে কর্তৃপক্ষ যে বারংবার প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাইছে, তার থেকেই আমরা বুঝতে পারি কর্তৃপক্ষের স্বার্থ ও উদ্দেশ্য সন্মন্ধে। শিক্ষার্থীরা তাদের মৌলিক অধিকারের প্রশ্নে দাবি-দাওয়া পেশ করতে পারেন এবং কর্তৃপক্ষ সাধ্যানুযায়ী সেগুলো বাস্তবায়নের চেষ্টা করবেন। কর্তৃপরে অপারাগতার জায়গাগুলোতে দফায় দফায় আনুষ্ঠানিক পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার ব্যবস্থা করাও প্রশাসনিক কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। সংলাপ বরাবরই প্রশাসকদের সমতা ও সদিচ্ছার উপর নির্ভর করে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. কামরুল হাসান, অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুশাদ ফরিদী, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন ও ফাহমিদুল হক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মানস চৌধুরী, নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নাসরিন খন্দকার প্রমুখ বিবৃতিতে স্বার করেন।