খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় : অনশনরত দুই শিক্ষার্থীর একজন অসুস্থ

0

খুলনা সংবাদদাতা॥ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) আমরন অনশনরত দুই শিক্ষার্থীর মধ্যে মোবারক হোসেন নোমান নামের এক শিক্ষার্থী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণের জন্য হাসপাতালে নিতে চাইলে তিনি অস্বীকৃতি জানান। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের একজন চিকিৎসককে ডেকে আনলে তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে রাজি হন। এ বিষয়ে অনশনরত আরেক শিক্ষার্থী ইমামুল ইসলাম সোহান বলেন, আমিও শারীরিকভাবে বেশ অসুস্থ বোধ করছি, হাঁটার মত শক্তি নেই। কিন্তু নোমান অনেক বেশি অসুস্থ, তার হাত মুখ ফুলে গেছে। কথাও বলতে পারছে না সকাল থেকে। নোমানকে পর্যবেক্ষণকারী বিশ্ববিদ্যালয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক ডা. শেখ সাঈদ আফতাব জানান, ওই শিক্ষার্থীর ব্লাড সুগার অনেক নিচে নেমে গেছে। তার এখন সার্বক্ষণিক নিবিড় পর্যবেক্ষণ দরকার।
সেই চিকিৎসা সেবা এখানে বসে দেওয়ার সুযোগ নেই । এ কারণে এখনই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা প্রয়োজন।
গতবছর খুবি শিক্ষার্থীদের ৫ দফা আন্দোলনের সময় দুই শিক্ষকের সঙ্গে অসদাচরণ ও একাডেমিক কাজে বাধাদানের জেরে ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের ইমামুম ইসলাম সোহান ও বাংলা ডিসিপ্লিনের মোবারক হোসেন নোমানকে বহিষ্কার করা হয়। এ শাস্তি বাতিলের দাবিতে সোমবার সন্ধ্যা থেকে তারা আমরণ অনশন শুরু করেছেন। এদিকে খুলনার সচেতন নাগরিক ও সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দের ব্যানারে বৃহস্পতিবার খুলনা নগরীর শিববাড়ি মোড়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সমাবেশে উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ মেডিকেল এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. বাহারুল আলম, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির মফিজুল ইসলাম, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির এস এম শাহাদাত হোসেন ও এস এ রশিদ, খুলনা জেলা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সঞ্জিত মন্ডল, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন পরিষদের সৌমিত্র সৌরভ, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের আলামিন, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের ফরহাদ হাসান রাজ, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের পলাশ, সচেতন নাগরিক নেতা মহসিন, অধ্যাপক হাবিবুর রহমান হাবিব এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে রাজশাহী ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে মানববন্ধনের আহবান করা হয়েছে।