ক্রান্তিকালে হাল ধরে জাতিকে বেঁচে থাকার প্রেরণা জুগিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান : অমিত

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ স্বাধীনতার মহান ঘোষক বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকীর আলোচনা সভায় দলের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেছেন, জিয়াউর রহমান ছিলেন বাঙালির ত্রাণকর্তা। নিদারুণ ক্রান্তিকালে হাল ধরে তিনি বাঙালি জাতিকে বেঁচে থাকার প্রেরণা জুগিয়েছিলেন। আজ এই ক্ষণজন্মা পুরুষের জন্মবার্ষিকীতে আমাদের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার শপথ নিতে হবে।
গতকাল বুধবার যশোর জেলা বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। দলীয় কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনিন্দ্য ইসলাম অমিত আরও বলেন, জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক কি-না এই বিতর্ক শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের। মহান মুক্তিযুদ্ধের কোন বীর যোদ্ধা আজ পর্যন্ত বলেননি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক নন। তারা অকপটে স্বীকার করেন তিনিই স্বাধীনতার ঘোষক। এটি নিয়ে বিতর্কের কোন অবকাশ নেই। মুক্তিযুদ্ধকালীন অস্থায়ী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ, ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী পর্যন্ত বলে গেছেন, জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান ঘোষক। আজ শহীদ জিয়াউর রহমানের অবদানকে মুছে ফেলার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এই ধরনের অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। তারা যতই অপপ্রচার চালাক জনগণ প্রকৃত ইতিহাস জানে। সেই ১৯৭৫ সালে পট পরিবর্তনের পর সিপাহী জনতার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করে তার হাতে নেতৃত্ব তুলে দিয়েছিলেন। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্যে। সেদিন তিনি নেতৃত্ব হাতে নিয়ে শুধু স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করেননি। নেতৃত্ব শূন্য হতাশাগ্রস্ত দিকভ্রান্ত বাঙালি জাতির মধ্যে নবজাগরণ সৃষ্টি করেছিলেন। তিনি শিখিয়েছিলেন, কিভাবে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হয়। কিভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে হয়। দেশ ও জাতির চরম সংকটময় পরিস্থিতিতে শহীদ জিয়াউর রহমানের দেখানো পথ অনুসরণ করে নির্বাসিত গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতে হবে। প্রতিষ্ঠা করতে হবে জনগণের সকল মৌলিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার। আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমানকে নতুন প্রজন্মের সাথে পরিচয় করে দিতে হবে। তাদের সামনে তুলে ধরতে হবে, তার আদর্শ দর্শন, চিন্তা, চেতনাকে। যাতে করে নতুন প্রজন্ম এটিকে ধারণ করে আগামীতে দেশের নেতৃত্ব দিতে পারে। দেশ সঠিক এ যোগ্য নেতৃত্ব দ্বারা পরিচালিত হবে।
আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাড. মোহাম্মদ ইসহক, প্রফেসর গোলাম মোস্তফা, আব্দুস সালাম আজাদ, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুনীর আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আজম প্রমুখ। আলোচনা সভা পরিচালনা করেন জেলা যুবদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেকে পৗর কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান মাসুম।