কলেজছাত্রকে গলাটিপে হত্যার পর মরদেহ খালে ফেলে দেন প্রতিবেশী অমিত

0

স্টাফ রিপোর্টার॥ যশোরের বাঘারপাড়ার কলেজছাত্র শিমুল বিশ্বাসকে (১৭) রাতে ডেকে নিয়ে গলাটিপে হত্যার পর মরদেহ খালের পানিতে ফেলে দেয়া হয় বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তার প্রতিবেশী অমিত গোলদার। মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মঞ্জুরুল ইসলাম জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ওসি সৌমেন দাস বলেন, এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। নিহত শিমুল বিশ্বাস ভাঙ্গুড়া ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ও বাঘারপাড়ার দোগাছি গ্রামের মুকুল বিশ্বাসের ছেলে।
গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন, বাঘারপাড়ার দোগাছি গ্রামের নিমাই গোলদারের ছেলে সৌমিত্র গোলদার (২০) ও অমিত গোলদার (২২), একই গ্রামের পাগলচন্দ্র গোলদারের ছেলে লক্ষ্মীকান্ত গোলদার (৪০), জগবন্ধু গোলদারের ছেলে কৃষ্ণপদ বিশ্বাস (৫০) ও নড়াইল সদরের করলা গ্রামের রাম বিশ্বাসের ছেলে ও যশোর সদরের দোগাছি গ্রামের শক্তি গোলদারের জামাই কৃষ্ণ বিশ্বাস (২৭)। মঙ্গলবার দুপুরে নিজ দফতরে প্রেসবিফ্রিংয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন জানান, গত ১৭ জানুয়ারি রোববার বাঘারপাড়া উপজেলার রঘুরামপুর বেজিগাড়া মাঠের খাল থেকে শিমুল বিশ্বাসের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় তার পিতা মুকুল বিশ্বাস হত্যার অভিযোগে বাঘারপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর মামলাটি তদন্ত করতে ডিবি পুলিশকে নির্দেশনা দেয়া হয়। পুলিশ সুপার আরও জানান, ডিবি পুলিশ নির্দেশনা অনুযায়ী শিমুল বিশ্বাসের মোবাইলের কললিস্ট চেক করে তার প্রতিবেশী এজাহারনামীয় আসামি সৌমিত্র গোলদার ও অমিত গোলদারকে আটক করে। আটকের পর তারা হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। একই সঙ্গে হত্যায় জড়িত আরও তিনজনের বিষয়ে তথ্য দিয়েছেন তারা। এরপর পুলিশ লক্ষ্মীকান্ত গোলদার, কৃষ্ণপদ বিশ্বাস ও কৃষ্ণ বিশ্বাসকে গ্রেফতার করে। তিনি জানান, গ্রেফতাররা জানিয়েছেন, শিমুলকে নিয়ে রঘুরামপুর মন্দিরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখতে যায় অমিত গোলদার। সেখান থেকে ফেরার পথে পূর্বের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে শিমুলের গলাটিপে হত্যা করেন অমিত গোলদার। এরপর মরদেহ গুম করার উদ্দেশ্যে রঘুরামপুর বেজিগাড়া মাঠের খালের মধ্যে ফেলে আসেন। সোমবার তিন আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। বাকি দুই আসামিকে মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।