সিনিয়রদের অনুপ্রেরণা নিয়েই এগিয়ে যেতে চান হাসান মাহমুদ

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥মাশরাফি বিন মুর্তজা এবং পাকিস্তানি স্পিড স্টার শোয়েব আখতারের বোলিংয়ের প্রেমে পড়েই পেসার হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন হাসান মাহমুদ। ১৯৯৯ সালে লক্ষ্মীপুরে জন্ম নেওয়া হাসানের ক্রিকেট খড়ি ২০১২ সালে লক্ষ্মীপুর ক্রিকেট একাডেমিতে অনুশীলন করে। গত জানুয়ারিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে জাতীয় দলে প্রথম ডাক পেলেও মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেক হয় এই তরুণের। টি-টোয়েন্টির পর এবার প্রথম ডাক পেলেন ওয়ানডে সিরিজেও।
হাসান গত বছর বঙ্গবন্ধু বিপিএলে ১৩ ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়ে নির্বাচকদের নজর কেড়েছিলেন। এরপর বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপেও সেই ধারা অব্যাহত ছিল। ৯ ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়ে নির্বাচকদের বার্তা দিয়েছেন। এবার ওয়ানডে দলে সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বসিত মাহমুদ বলেছেন, ‘যেদিন থেকে খেলা শুরু করেছিলাম, সেদিন থেকেই জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন ছিল। এখন সুযোগ পেয়েছি, আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।’
দ্রুত গতির এই পেসার দলের সিনিয়র ক্রিকেটারের অনুপ্রেরণা নিয়েই সামনে এগিয়ে যেতে চান, ‘অবশ্যই সিনিয়রদের অনুপ্রেরণা কাজ করে। দেশীয় ক্রিকেটারই হোক বা বিদেশি। সবাইকে দেখে দেখেই এতটুকু আগানো।’
কুড়ি ওভারের অভিষেক ম্যাচটা সেভাবে রাঙাতে পারেননি হাসান। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৪ ওভারে ২৫ রান খরচায় উইকেট শূন্য ছিলেন। কিন্তু ৫০ ওভারের ম্যাচটাকে রাঙাতে বদ্ধপরিকর তিনি, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিজের সেরাটাই দিতে হবে। এটা দিয়ে তো আমার ক্যারিয়ার শুরু হবে।’
ছোটবেলায় পাকিস্তানি ফাস্টবোলার শোয়েব আখতারের বোলিং দেখে হাসানের পেসার হয়ে ওঠা। বিষয়টি মনে করিয়ে দিতেই হাসান হয়ে উঠলেন এক লাজুক তরুণ, ‘হ্যাঁ, শোয়েব আখতারের গতিময় বোলিং দেখেই আমার পেসার হওয়ার স্বপ্ন দেখার শুরু। টিভিতে তার বোলিং দেখে মনে হতো, আমিও যদি অত জোরে বল করতে পারতাম, ব্যাটসম্যানের স্টাম্প উপড়ে দিতে পারতাম।’
২০১২ সালে স্থানীয় কোচ মনিরের তত্ত্বাবধানে ক্রিকেটে হাতেখড়ি হাসানের। ২০১৩ সালে লক্ষ্মীপুর জেলার হয়ে অনূর্ধ্ব-১৪ দলে খেলার সুযোগ পান। ধারাবাহিকভাবে বয়সভিত্তিক দলগুলো পেরিয়ে ২০১৭ সালে ঢুকে পড়েন অনূর্ধ্ব-১৯ দলেও। ২০১৮ সালে খেলেছেন নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে। গত দুই বছরে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ও বিপিএল আরও পরিণত করেছে তাকে। বর্তমানে এই পেসার ঘণ্টায় ১৪২.৪০ কিমি গতির আশপাশে বোলিং করেছেন। গত কয়েক দিনের প্রস্তুতিতে সাকিব-তামিমদের বেশ ভুগিয়েছেনও তিনি।