মোংলা পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থীসহ ১২ কাউন্সিলরের ভোট বর্জন

0

মোংলা (বাগেরহাট) সংবাদদাতা ॥ দীর্ঘ ১০ বছর পর মোংলা পোর্ট পৌরসভায় শনিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সকাল থেকে উৎসব মুখর পরিবেশ দেখা গেলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে ব্যাপক অনিয়ম, বিশৃংখলা, কেন্দ্র দখল ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের কর্মী সমর্থকদের উপর হামলার অভিযোগ পাওয়া যায়। এসব অভিযোগ এনে বেলা সাড়ে ১০ টার দিকে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মো. জুলফিকার আলী তার বাস ভবনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনিসহ বিএনপি ও জামায়াত সমর্থিত ১২ জন কাউন্সিলর প্রার্থী একযোগে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। এ সময় মেয়রের সঙ্গে বিএনপি সমর্থিত সকল কাউন্সিলর প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে মেয়র প্রার্থী জুলফিকার আলী অভিযোগ করে বলেন, ভোট শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিটি কেন্দ্রে দখল করে নেয় আওয়ামী সমর্থকরা। তারা ভোটারদের প্রকাশ্যে ভোট দিতে বলে। একই সাথে সাধারণ ভোটারদের ভোট প্রদানে বাধা সৃষ্টি করে। এ ছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রে তার এজেন্ট বের করে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। মেয়র প্রার্থী আরো দাবি করেন, প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে তিনি পাননি। ভোটের আগের দিন রাতভর তার কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে দুর্বৃত্তরা হামলা ও মারধর করে। প্রতিপক্ষরা শুক্রবার রাতে তার ২৭ জনসহ শনিবার সকাল পর্যন্ত প্রায় অর্ধশত লোকজনকে মারধর করে আহত করেছে। কাউন্সিলর প্রার্থী মো. হোসেন ও আলাউদ্দিন বলেন, ভোটারদের উপস্থিতি ভালো থাকলেও তাদেরকে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। জোর করে তাদের ভোট নেওয়া হয়েছে। অপর কাউন্সিলর প্রার্থী মো. খোরশেদ আলম বলেন, র‌্যাব-পুলিশের উপস্থিতিতে তাকে বের করে দেওয়া হয়েছে। কাউন্সিলর প্রার্থী এমরান হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ধানের শীষের কর্মীদের উপর নৌকার কর্মীরা নানাভাবে হামলা চােিয়ছে। এজেন্টদের বের করে দিয়েছে। অথচ প্রশাসন এ ব্যপারে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। এ দিকে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষসহ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনায় নারী-পুরুষসহ বেশ কয়েক জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মামলা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে দীর্ঘ ১০ বছর পর অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হয়েছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রায় ভোট কেন্দ্রে পুরুষের চেয়ে মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে বাধার কারণে অনেকেই ভোট দিতে পারেনি।