বেনাপোল বন্দরে পণ্য খালাস বন্ধ

0

স্টপফ রিপোর্টার॥ চোরাচালানে সহযোগিতা করার অভিযোগে বেনাপোল বন্দরে এক সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ সদস্যকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ, কার্ড বাতিল ও তার বিরুদ্ধে মামলা করার প্রতিবাদে কর্মবিরতি ডেকে পণ্য খালাস কার্যক্রম বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। এতে বন্ধ আছে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য কার্যক্রম। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এই মামলা করেছে। বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুর থেকে স্টাফ সদস্যরা কর্মবিরতিতে আছেন। তারা কাস্টমস হাউজের সামনে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা করেন। চলমান সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত পণ্য খালাস বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
অভিযুক্ত সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ সদস্য আক্তারুজ্জামান আক্তার জানান, বুধবার (১৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় কয়লার একটি ট্রাক ভারতের পেট্রাপোল বন্দর থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। তখন তিনি বর্ডারের কার্গো শাখা থেকে ওই পণ্যের মেনিফেস্ট স্টিকার নম্বর ও ইনভয়েস তুলে বাড়িতে চলে যান। পরবর্তীতে রাতে কাস্টমস কর্মকর্তারা তাকে ফোন করে বন্দরের টার্মিনালে নিয়ে যান ট্রাকটি। এরপর একটি ট্রাক থেকে ফেনসিডিল ও তিনি যে ট্রাকের কাগজপত্র তুলেছিলেন সেই ট্রাক থেকে ওষুধ উদ্ধার করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। ওই সময় কাস্টমস কর্মকর্তারা তার কাছ থেকে কাস্টমস কার্ডটি নিয়ে নেন এবং ট্রাক ও তাকে কাস্টমস হাউজের মধ্যে নিয়ে আসেন। পরে তারা একটা কাগজে তার সই নিয়ে রাত ১২টার দিকে তাকে ছেড়ে দেন। কাস্টমস কর্মকর্তারা তাকে জানান, অবৈধ পণ্য আনার অপরাধে তার বিরুদ্ধে মামলা হবে। বেনাপোল দিয়ে ভারত থেকে রফতানির অপেক্ষায় পন্যবাহী ট্রাকবেনাপোলে ভারতের পণ্যবাহী ট্রাক
এ প্রসঙ্গে বেনাপোল কাস্টমস হাউজের অতিরিক্ত কমিশনার (এডি) ডা. নিয়ামুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, গোপন সংবাদের মাধ্যমে তারা জানতে পারেন ভারতীয় বৈধ আমদানি পণ্যের ট্রাকে কিছু অবৈধ মালামাল বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে। এরপর তারা বন্দরের ভারতীয় ট্রাক টার্মিনালে অভিযান চালান। এসময় ভারতীয় একটি তুলার ট্রাক থেকে ২০০ বোতল ফেনসিডিল ও কয়লার ট্রাক থেকে কিছু ভারতীয় ওষুধ উদ্ধার করেন তারা। কয়লার ট্রাকের বর্ডার ম্যান আক্তারুজ্জামান আক্তারকে আটক করে তার কার্ড নিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় নিরাপরাধ কাউকে হয়রানি করা হবে না বলেও নিশ্চিত করেন তিনি। সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, অপরাধ করবে ভারতীয় ট্রাক চালক, আর তার দোষ পড়বে বাংলাদেশ সিঅ্যান্ডএফ স্টাফদের ওপর- এটা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। তবে বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছে। সমাধান না হওয়া পর্যন্ত পণ্য খালাস কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ সদস্যদের কর্মবিরতিতে আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে। এদিকে, আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকায় বন্দরের দুই পারে শত শত ট্রাক পণ্য নিয়ে আটকা পড়েছে। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে শিল্প কলকারখানার কাঁচামালসহ খাদ্য সামগ্রী।