পোষাচ্ছে না তাই হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ আমদানিকৃত ভারতীয় ও দেশী পেঁয়াজের দাম সমান হওয়ায় দেশের বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা নেই বললেই চলে। পেঁয়াজ আমদানিতে সরকার ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর ভারতীয় পেঁয়াজে আর লাভ থাকছে না। এ অবস্থায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানিই বন্ধ করে দিয়েছেন আমদানিকারকরা। হিলি স্থল শুল্কস্টেশন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ জানুয়ারি বন্দর দিয়ে ৪টি ট্রাকে ৯৭টন পেঁয়াজ আমদানি হয়। ১০ জানুয়ারি ১টি ট্রাকে ২৪ টন, ১১ জানুয়ারি ১টি ট্রাকে ২৮ টন ও ১২ জানুয়ারি ১টি ট্রাকে ২৫ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। গত ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি এই দুদিন বন্দর দিয়ে কোন পেঁয়াজ আমদানি হয়নি।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা আব্দুর রহিম ও তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আসার খবরে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমে এসেছে। তবে বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ও দেশীয় পেঁয়াজের দাম একই হওয়ায় আমরা দেশীয় পেঁয়াজ কিনছি। ভারতীয় পেঁয়াজের চেয়ে দেশীয় পেঁয়াজের স্বাদ অনেক ভালো।
হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা মুকুল হোসেন বলেন, বর্তমান বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ ও দেশীয় পেঁয়াজের দাম একই। এছাড়া ভারতীয় পেঁয়াজের চাইতে দেশীয় পেঁয়াজের স্বাদ ও মান ভালো হওয়ায় সব সময় চাহিদা বেশি থাকে। ফলে বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা এখন প্রায় নেই। এর ওপর কয়েকদিন আগে ভারতীয় পেঁয়াজ ৩০ টাকায় কেনার পর সেগুলোর গাছ বেরিয়ে গেছে। সেই পেঁয়াজ ২৫/২৭ টাকা কেজি দরে বেচে অনেকেই লোকসানে পড়েছে। এ কারণে আমিও আর ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি করি না, মানুষও চায় না। বর্তমানে দেশীয় পেঁয়াজ পাইকারিতে ২৮ টাকা কেজি এবং খুচরাতে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক শাহিনুর রেজা বলেন, অভ্যন্তরীন বাজারে পেঁয়াজের সংকটের কথা বলে গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা ভারত। এখন নতুন পেঁয়াজ আসায় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। কিন্তু বর্তমানে ভারতে পেঁয়াজের বাজার অনুযায়ী আমাদের প্রতি টন ২৫০ থেকে ২৭৫ ডলারে আমদানি করতে হচ্ছে। এর ওপর সরকার আমদানিতে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় কেজি প্রতি ২ টাকা ৬০পয়সার মতো শুল্ক পরিশোধ করতে হচ্ছে। এতে করে বর্তমানে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে সব মিলিয়ে ৩৫/৩৭ টাকা কেজি দরে বেচতে পারলে আমাদের লাভ থাকে। কিন্তু বাজারে দেশী পেঁয়াজই বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা দরে। লোকসানের কারণে আমদানি বন্ধ করে দিয়েছেন আমদানিকারকরা।
হিলি স্থল শুল্কস্টেশনের ডেপুটি কমিশনার সাইদুল আলম বলেন, বর্তমানে পেঁয়াজ আমদানিতে ১০শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। মূলত এ কারণেই হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজের কোনো আমদানি নেই। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রথম কয়েকদিন বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হলেও এখন আর আসছে না।