কেশবপুরে স্লুইসগেট পুনর্খননের তিন মাসেই পলি ভরাট : ৪শ হেক্টর জমির আবাদ অনিশ্চিত

0

জয়দেব চক্রবর্ত্তী,কেশবপুর (যশোর) ॥ কেশবপুরে ২৭ বিল এলাকার ডায়ের খালের পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ৮ ব্যান্ড স্লুইসগেট পুনর্খননের ৩ মাসেই পলিতে ভরাট হয়ে গেছে। ফলে পানি নিষ্কাশন পথ বন্ধ হয়ে পাঁজিয়া ইউনিয়নের ৩ গ্রামের ৪শ হেক্টর জমির বোরো আবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। অপরদিকে, বোরো আবাদের লক্ষ্যে গত ১ সপ্তাহ ধরে মালিকরা ঘেরের পানি স্যালো মেশিন দিয়ে নিষ্কাশনের চেষ্টা করেন। কিন্তু পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় বাগডাঙ্গা, মনোহরনগর গ্রামের অর্ধশত বাড়ি তলিয়ে গেছে। অসময়ে ঘের মালিকদের সৃষ্ট এ বন্যায় সাধারণ মানুষকে দুর্বিষহ জীবনযাপন করতে হচ্ছে।
জানা গেছে, ২৭ বিল এলাকার পাঁজিয়া ইউনিয়নের বাগডাঙ্গা, মনোহরনগর ও মাদারডাঙ্গা
গ্রামের বর্ষার অতিরিক্ত পানি ডায়ের খালের ৮ ব্যান্ড স্লুইসগেট দিয়ে হরি নদীতে নিষ্কাশন
হয়ে থাকে। ২০১০ সালের পর হরি নদী নাব্যতা হারানোর কারণে ২৭ বিলসহ কেশবপুরে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। চলতি মৌসুমে বোরো আবাদের লক্ষ্যে বাগডাঙ্গা, মনোহরনগর গ্রামের অধিকাংশ ঘেরের পানি গত ১ সপ্তাহ ধরে ঘের মালিকরা স্যালো মেশিন দিয়ে নিষ্কাশন কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু ডায়ের খাল পলিতে ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। পানি ঢুকে পড়ছে লোকালয়ে। অসময়ে ঘের মালিকদের সৃষ্ট বন্যায় ইতোমধ্যে বাগডাঙ্গা, মনোহরনগর গ্রামের পরিতোষ রায়, বিকাশ রায়, মানিক চাঁদ রায়, সুকচাঁদ রায়, কার্তিক রায়, অসিম রায়, প্রদীপ রায়, সমিরন রায়, সীমা রায়সহ অর্ধশত বাড়িঘরে পানি থৈ থৈ করছে।
কেশবপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মুন্সি আছাদুল্লাহ বলেন, পলির হাত
থেকে ২৭ বিলসহ বাগডাঙ্গা, মনোহরনগর গ্রাম রক্ষায় ডায়ের খালের ৮ ব্যান্ড স্লুইসগেট
নির্মাণ করা হয়। গত অক্টোবরে ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে ডায়ের খালের ৮ ব্যান্ড স্লুইসগেটের পলি অপসারণ করা হয়েছিল। কিন্তু হরিনদীর নাব্য না থাকায় পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। হরি নদীর ভবদহ থেকে খর্নিয়া পর্যন্ত ১৯ কিলোমিটার পলিতে ভরাট হয়ে গেছে। ভবদহ প্রকল্পের মধ্যে ওই নদী অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। যদি প্রকল্প অনুমোদন হয় তাহলে ৮/১০ বছর এলাকা জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষা পাবে। এছাড়া বাগডাঙ্গা এলাকার পানি সমস্যা নিরসনে গত ৯ জানুয়ারী ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।