যশোরে বর্ষীয়ান রাজনীতি সামছুল হুদার জীবনাবসান

0

স্টাফ রিপোর্টার॥ যশোরের বর্ষীয়ান রাজনীতিক জেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও আহ্বায়ক কমিটির সম্মানিত সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সামছুল হুদা মৃত্যুবরণ করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ঢাকার নিউরোসায়েন্স হসপিটালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত তার মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করেছেন।
যশোরের মেধাবী রাজনীতিকদের মধ্যে অন্যতম সামছুল হুদার মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি স্ত্রী, এক মেয়ে ও দুই ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
যশোর শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের বাসিন্দা রাজনীতিক সামছুল হুদা গত শুক্রবার সন্ধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। এসময় তাকে দ্রুত যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে চিকিৎসকরা তাকে রাজধানী ঢাকার আগারগাঁওয়ে নিউরোসার্জন হসপিটালে স্থানান্তর করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় তিনি ইন্তিকাল করেন। মৃত্যু সংবাদের সাথে সাথে ওই চিকিৎসা কেন্দ্রে ছুটে যান বিএনপির নির্বাহী কমিটি সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবিরা নাজনীন মুন্নী, যুবদলের কেন্দ্রীয় সহ সাধারণ সম্পাদক নূরুজ্জামান লিটন ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ইফতেখারুল সেলিম অগ্নিসহ নেতা কর্মীরা। তারা সেখান থেকে রাতেই মরদেহ কফিনবন্দি করে যশোরে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
অনিন্দ্য ইসলাম অমিত জানান, মরদেহ যশোরে পৌঁছানোর পর দুপুর তিনটায় জেলা বিএনপির কার্যালয়ে নেয়া হবে। সেখানে দলী নেতাকর্মীরা শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাবেন। এরপর বাদ আসর যশোর কেন্দ্রীয় ঈদগাঁয়ে নামাজে জানাজা শেষে কারাবালা কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হবে।
এদিকে জাসদের কেন্দ্রীয় নেতা ও যশোরের অন্যতম বীর মু্িক্তযোদ্ধা রবিউল আলম জানান, জানাজার আগে বীর মু্িক্তযোদ্ধা সামছুল হককে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদর্শন করা হবে।
মেধাবী রাজনীতিক সামছুল হুদা ১৯৬৯ সালে বৃহত্তর যশোর জেলা ছাত্রলীগের সদস্য ছিলেন। একই সালে তিনি যশোর সিটি কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি ছিলেন। ১৯৭২ সালে তিনি বৃহত্তর যশোর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালে তিনি আওয়ামী লীগ (মিজান) ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৮৬ সালে তিনি যশোর জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৯৬ সালে একই দলে সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০১০ সালে সামছুল হুদা জেলা বিএনপির সহসভাপতি নির্বাচিত হন। এ অবস্থায় জেলা বিএনপির সভাপতি চৌধুরী শহিদুল ইসলাম নয়নের মৃত্যুর পর তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মনোনিত হন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সম্মানিত সদস্য ছিলেন।
প্রবীণ এ রাজনীতিকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন নগর বিএনপির সভাপতি মারুফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মুনীর সিদ্দীকি বাচ্চু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আনিচুর রহমান মুকুল ও একে শরফুদ্দৌলাহ প্রমুখ।