স্কুলছাত্রীকে নৃশংসভাবে হত্যা সামাজিক অসহিষ্ণুতার বহিঃপ্রকাশ

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ রাজধানীর কলাবাগানে ইংরেজি মাধ্যমপড়ুয়া স্কুলছাত্রীকে (১৭) ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়ে তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)। শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) দলের দফতর সম্পাদক প্রেরিত এক বিবৃতিতে এ ক্ষোভ জানানো হয়। বিবৃতিতে ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় প্রমাণ হলো ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করলেই ধর্ষণ বন্ধ হবে না। এর জন্য প্রয়োজন আইনের শাসন ও সামাজিক প্রতিরোধ। স্কুলছাত্রীকে নৃশংসভাবে হত্যার মধ্য দিয়ে সামাজিক অসহিষ্ণুতারই বহিঃপ্রকাশ ঘটল। তারা বলেন, দেশজুড়ে একের পর এক ধর্ষণ, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, নারী নির্যাতন ও যৌন নিপীড়নের ঘটনার প্রতিবাদে তুমুল আন্দোলনের মুখে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধন করে সরকার ‘ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড’ করেছে। প্রশ্ন জাগে আইন করার পরও কি ধর্ষণ কমেছে? শুধু আইন করেই কি ধর্ষণ বন্ধ করা সম্ভব? অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত না করলে আইন সংশোধন করেও কোনো ফায়দা হবে না। বিচার নিশ্চিত না করে যত কঠোর আইনই হোক, ফলপ্রসূ হবে না।
নেতৃদ্বয় আরও বলেন, ধর্ষণ-নারী নির্যাতন বন্ধে সমাজে এই বার্তা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে যে, অপরাধ করলে শাস্তি পেতেই হবে। সেজন্য দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা জরুরি। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত প্রশাসন, ঘটনার সঠিক অনুসন্ধান ও তদন্ত এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচার নিশ্চিতে সংশ্লিষ্টদের সদিচ্ছা জরুরি। রাষ্ট্রের উচিত হবে ধর্ষণের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলা। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, কঠোর শাস্তির বিধানের কারণে অপরাধীরা নিবৃত্ত হবে সেই পরিস্থিতি এখন আর নেই। তারা চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছে পেশী শক্তি আর কালো টাকার মালিকদের দৌরাত্ম্য, ক্ষমতার দাপট। টাকার জোরে এবং রাজনৈতিক কারণে অনেকেই পার পেয়ে যায়। তারাও মনে করে অপরাধ করে পার পেয়ে যাবে। ফলে ধর্ষণের মতো অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছে তরুণ-যুবকরা। ন্যাপ নেতৃবৃন্দ কলাবাগানে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বলেন, সমাজ বর্বর ও অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে। মানুষের মন-মানসিকতাও অজান্তেই অসহিষ্ণু ও নৃশংস হয়ে যাচ্ছে। সময়ের প্রেক্ষাপটে ধর্ষণের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে, মানুষের মাঝে নৈতিক শিক্ষা ছড়িয়ে দিতে হবে।