বিদেশ থেকে পাঠিয়েছেন স্বর্ণ-কম্বল, বাড়ি এসে মারধরের শিকার

0

স্টাফ রিপোর্টার॥ যশোরের শার্শায় জমিজমার পূর্ব শত্রুতার জেরে বড় ভাইয়ের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন ছোট বোন। বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) সকালে তাকে মারধর করা হয়। তবে ঘটনা অস্বীকার করেছেন বড় ভাই ইদ্রিস আলী। তার দাবি, ছোট বোন উল্টো করে তাকে মেরেছেন। এ ঘটনায় শার্শা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে মারধরের শিকার মর্জিনা খাতুন (৩৫)।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শার্শা উপজেলার বাঁগআচড়া ইউনিয়নের বসতপুর গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের মেয়ে মর্জিনা খাতুন দীর্ঘ দিন ধরে বিদেশে চাকরি শেষে এক বছর আগে বাড়ি আসেন। বাড়ি ফেরার পর থেকে ভাই, ভাইপো ও ভাবির সঙ্গে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। গত শুক্রবার দুপুরে ভাই, ভাইপো ও ভাবি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে কেন এমন করা হচ্ছে জানতে চাইলে বাঁশের লাঠি দিয়ে তাকে বেধড়ক মারপিট করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার সকালে আগের ঘটনার জের ধরে আবারো মেহগনি কাঠের চলা দিয়ে বেদম মারপিট করেন।
মর্জিনা খাতুন বলেন, আমি বিদেশ থাকাকালীন ভাই, ভাবি ও ভাইপোকে স্বর্ণ, কম্বলসহ অনেক ব্যবহারের জিনিস দিয়েছি। বাড়ি আসার পর থেকে জমি নিয়ে বিবাদ চলে আসছে। ঘটনার দিন সকালে আমার দেয়া ওই সব জিনিস ফেরত দেন এবং গালিগালাজ করেন। বিষয়টি জানতে চাইলে তারা আমাকে বেধড়ক মারপিট করেন। এ সময় মা বাধা দিলে তিনিও মারপিটের শিকার হন। মারপিটের এক পর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে পড়লে স্থানীয়রা উদ্ধার করে শার্শা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমার পুরো পিঠজুড়ে এবং হাত ও পায়ে মারের দাগ রয়েছে। আমি জাতীয় হেল্পলাইন ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে শার্শা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) পবিত্র বিশ্বাস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। জীবনের নিরাপত্তার কথা ভেবে আমি থানায় একটি অভিযোগপত্র দিয়েছি।’ এ ব্যাপারে ইদ্রিস আলীর কাছে জানতে চাইলে দম্ভোক্তির সঙ্গে সংবাদকর্মীদের বলেন, ‘এটা একটা পারিবারিক বিষয়। এটা আপনারা মিডিয়ায় ফ্লাশ করছেন, এটা দুঃখজনক ব্যাপার। আমি কোনো বক্তব্য দিতে পারব না। এতে আমার জেল-ফাঁসি যা হয় হবে।’ শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম খান বলেন, ‘মারপিটের ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেছে ভুক্তভোগী মর্জিনা খাতুন। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’