নতুন বছরের অর্থনীতি

0
হারুন-আর-রশিদ
শুরু হয়েছে আরেকটি নতুন বছর, ২০২১ সাল। বছরটি অর্থনীতির বিভিন্ন খাতে কিছু সুসংবাদ বয়ে আনতে পারে, নেতিবাচক কিছু দিকও স্পষ্ট; যা সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘমেয়াদি করোনায়। আমাদের অর্থনীতির সুসংবাদটি হচ্ছে- দেশের মানুষের বার্ষিক মাথাপিছু গড় আয় দুই হাজার ডলার ছাড়িয়ে গেছে। গত অর্থবছর (২০১৯-২০) শেষে দেশের মানুষের মাথাপিছু গড় আয় দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৬৪ ডলার। এর আগের বছর ছিল এক হাজার ৯০৯ ডলার। অর্থাৎ আমাদের মাথাপিছু গড় আয় এক বছরের ব্যবধানে ১৫৫ ডলার বেড়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ও মাথাপিছু আয়ের সাময়িক হিসাবে এ চিত্র উঠে এসেছে। বিবিএসের তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশী মুদ্রায় মানুষের মাথাপিছু আয় বছরে দাঁড়াচ্ছে গড়ে এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা। অর্থাৎ মাসে গড় আয় প্রায় ১৪ হাজার ৬২০ টাকার মতো। মাথাপিছু গড় আয় কোনো ব্যক্তির ব্যক্তিগত আয় নয়। একটি দেশের মোট আয়কে মাথাপিছু ভাগ করে দেয়া হয়। এই আয়ে ধনী-দরিদ্র বৈষম্য থেকেই যাচ্ছে। বিদায়ী অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ। এটি সাময়িক অথবা ক্ষণস্থায়ী হিসাব। করোনার কারণে বিদায়ী বছরে প্রবৃদ্ধি কমেছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। করোনার প্রভাবে প্রবৃদ্ধি হ্রাস পেলেও মাথাপিছু আয় বেড়েছে। গড় আয় এখন ২০৬৪ ডলার। বর্তমানে দেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৪৬ লাখ। মোট জনসংখ্যার আট কোটি ২৪ লাখ পুরুষ এবং নারী আট কোটি ২২ লাখ। সবাই এখন ১৪ হাজার ৬২০ টাকা করে মাসিক আয় করেন। এর আগের বছরে প্রত্যেকের মাসিক আয় ছিল ১৩ হাজার ৫২২ টাকা (২০১৮-১৯) অর্থাৎ করোনাকালেও এক বছরের ব্যবধানে মাসিক আয় বেড়েছে এক হাজার ৯৭ টাকা ৯৭ পয়সা (তথ্য সূত্র : বিবিএস)।
বাংলাদেশে বিদেশী ঋণের চাপ ক্রমেই বাড়ছে। এক দশকের ব্যবধানে এ ধরনের ঋণের পরিমাণ দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭ বিলিয়ন ডলার। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী ১০ বছর আগে ২০০৯ সালে বাংলাদেশের বিদেশী ঋণের পরিমাণ ছিল ২৫ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশে প্রবাসী আয়ে ইতোমধ্যে ধাক্কা লেগেছে। মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসী কর্মীদের দেশে ফেরত আসা অব্যাহত রয়েছে। ছয় মাসেই ফিরেছেন ১,৮০,৫৭৩ জন। কর্মস্থলে পুনরায় যেতে পারবেন না এক-তৃতীয়াংশ। ফলে প্রবাসী আয়ের খাতটি এখন সবচেয়ে বড় ধরনের হুমকির মধ্যে আছে। জিডিপি, রিজার্ভ সব কিছুই নেতিবাচক রূপধারণ করবে বলে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশ এশিয়ার ৩০টি দেশের মধ্যে ২৬তম অবস্থানে আছে। প্রবৃদ্ধি বেড়েছে কিছু মানুষের। নিম্ন আয়ের মানুষের প্রবৃদ্ধি বাড়েনি। বাংলাদেশে যতটুকু উন্নয়ন হয়েছে- তা সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের নয়। শুধু ৫ শতাংশ মানুষের উন্নয়ন হয়েছে। দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদদের বিশ্লেষণ, গবেষণাপ্রতিষ্ঠান এবং আন্তর্জাতিক রিপোর্টগুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে- দেশের ৯৫ শতাংশ সম্পদ মাত্র ৫ ভাগ মানুষের হাতে রক্ষিত আছে। বড় বড় ব্রিজ,অট্টালিকা, সুন্দর সুন্দর গাড়ি, এগুলো তো উন্নয়নের প্রমাণ নয়। যে উন্নয়নে সাধারণ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয় না-সেটা প্রকৃত উন্নয়নের প্রমাণ হতে পারে না। সম্প্রতি এডিবি এশিয়ার ৩০টা দেশের একটি জরিপ করেছে- কোন দেশের মানুষ কতটা সুখী এবং নিরাপদ জীবনযাপন করতে পারছে- ওই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থা ২৬তম অর্থাৎ বাংলাদেশের চেয়ে মাত্র চারটি দেশ কম সুখী।
বাংলাদেশের উন্নয়ন শুধু মাইক্রোফোনের সামনে, আর আছে কাগজে-কলমে। মানুষের বাইরে প্রবণতা বেড়েছে। বেকার জীবন কারো ভালো লাগে না- তাই তারা ইউরোপ যেতে চায়। প্রশ্ন এসে যায়- বাংলাদেশ এত উন্নত, তাহলে আমাদের জনগণের এই অবস্থা কেন? আজ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাংবাদিকরা এসব কথা বলছেন। দেশে অব্যাহত বেকার জীবন কারো ভালো লাগে না- তাই তারা ইউরোপ যেতে চায়। ঝুঁকি নিয়ে অবশেষে পড়ছে বিপদে- দেখার কেউ নেই। আমরা দেশে বসে প্রবাসীদের আয় নিয়ে বড় বড় কথা বলি কিন্তু তাদের দুঃখের কথা কেউ শুনতে চান না। বাংলাদেশ তখনই উন্নত রাষ্ট্রের অর্থনীতির ক্যাটাগরিতে পড়বে যখন সাতটি বিষয়ভিত্তিক তথ্য বাস্তবায়ন সম্ভব হবে ১. কারিগরি জ্ঞান, ২. ভূমি ও প্রাকৃতিক সম্পদ, ৩. উচ্চ গড় আয়ুষ্কাল, ৪. রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, ৫. উন্নত পরিবহন ব্যবস্থা, ৬. মূলধন ও ৭. দক্ষ জনশক্তি। শোনা যাচ্ছে দেশে ৪১ বিলিয়ন ডলারের যে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ মজুদ রয়েছে তা থেকে বেসরকারি খাতে ঋণ দেয়া হলে ঝুঁকি বাড়বে বলে মনে করেন খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ খন্দকার ইব্রাহীম খালেদ। বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের রমরমা অবস্থা এখন আর নেই। ২৭ ডিসেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে দেখলাম- যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রফতানিতে বাংলাদেশের চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম ও পাকিস্তান। করোনার প্রভাবে চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের তৈরী পোশাক রফতানি কমেছে ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ। একক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের প্রধান রফতানি বাজার যুক্তরাষ্ট্রে করোনার ধাকায় পোশাকের আমদানি কমেছে। দেশটির পোশাক আমদানির তথ্য সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (ওটেক্স) সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ১০ মাসে পোশাক আমদানি কমেছে ২৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ। এ সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় সব দেশের রফতানি কমলেও প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশ কিছুটা পিছিয়ে পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ২০১৯ সালের প্রথম ১০ মাসে দেশটি সাত হাজার ২৪৯ কোটি ডলারের পোশাক কিনলেও এবার তা কমে দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ৩৯৫ কোটি ডলারে।
সম্প্রতি ব্র্যাক ও পিপি আরসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে চাকরির বাজারে সঙ্কট প্রকট আকার ধারণ করেছে। করোনায় এ পর্যন্ত কাজ হারিয়েছেন ২৬ শতাংশ মানুষ। দিন এনে দিনে খান- এমন মানুষের কর্মও কমে গেছে। নগরীর সড়কে দুই পাশে রাত যাপন করেন এমন ছিন্নমূল মানুষের সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। বাংলাদেশ যে অর্থনৈতিক মন্দায় আক্রান্ত- তা অনাহারী মানুষের দিকে তাকালেই উপলব্ধি করা যায়।
বিরাজমান করোনা মহামারী যতই দীর্ঘায়িত হবে- সরকারের আয় ততই কমবে এবং ব্যয় বাড়বে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে গরিব-নিম্নবিত্ত মানুষের জন্য সহায়তা বাড়াতে হবে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে করের হার পুনর্বিন্যাস করতে হবে। প্রয়োজনে কর মওকুফ করতে হবে। ফলে বাজেট ঘাটতি আরো বাড়বে। চলমান বাজেট ঘাটতি অতীতের সব রেকড ভঙ্গ করেছে। চলতি বাজেটের ছয় মাস শেষ হয়ে গেছে। চলতি অর্থবছরে ব্যাংক খাত থেকে যে ঋণ নেয়ার পরিকল্পনা তা ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ প্রায় দুই লাখ কোটি টাকা, যা বিগত অর্থবছরে (২০১৯-২০) সংশোধিত বাজেটের ঘাটতির চেয়ে ৩৬ হাজার ৪৮৯ কোটি টাকা বেশি। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ঘাটতির পরিমাণ এক লাখ ৫৩ হাজার ৬০৮ কোটি টাকা। যার পুরোটাই সরকার ব্যাংকিং চ্যানেল থেকে নিয়ে নিয়েছে। ফলে জাতীয় সঞ্চয়পত্রের বিক্রি কমে গেছে। টিআইএন বাধ্যতামূলক করা এবং সুদের ওপর কর বাড়ানোয় বেসরকারি ঋণের পরিমাণ ৯ দশমিক ১ শতাংশে এসে পৌঁছেছে, যা বিগত ১০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন বাজেট ঘাটতি মোকাবেলায় ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়া একটি খারাপ সংস্কৃতি সৃষ্টি হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ নেয়া ভালো দৃষ্টান্ত নয়। এখন ব্যাংকে ৪ আর ৯ এর খেলা চলছেÑ বিগত ১০ বছরে যা দেখা যায়নি। অর্থাৎ আমানতের ওপর ৪ শতাংশ আর ঋণের ওপর ৯ শতাংশ হারে সুদ দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া সুদের ওপর সরকারের কর, ব্যাংকের সার্ভিস চার্জ আছে। ফলে ব্যাংকে আমানতও কমে গেছে। আমানত কমলে বিনিয়োগও কমবে। অবশেষে এটি শিল্প খাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। সবদিক দিয়ে সামষ্টিক অর্থনীতি বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবে বলে মনে করি। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ভবিষ্যদ্বানী করেছে; প্রবৃদ্ধির হার ১ দশমিক ১ শতাংশ কমে যাবে। ২৯ মার্চ ২০২০ সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম একটি পত্রিকায় দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন- বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ কোনোভাবে ৫ শতাংশের বেশি করা ঠিক হবে না। আর বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ কমানো যেতে পারে অগ্রাধিকারভিত্তিক প্রকল্পে বেশি বরাদ্দ রেখে। আমরা প্রতি বছরই একনেকের বৈঠকে অনেক প্রকল্প অনুমোদন হতে দেখি। এর সবই অগ্রাধিকারভিত্তিক নয়। অগ্রাধিকার বর্জিত অনেক প্রকল্প থাকে। এসব প্রকল্পে বরাদ্দ কমাতে হবে। অনেক সময় দেখা যায়- প্রকল্প বাস্তবায়নে যে সময় নির্ধারণ করে দেয় তার চেয়ে দ্বিগুণ সময় লেগে যায়। পদ্মা সেতু তার জ্বলন্ত উদাহরণ। নির্ধারিত সময় প্রকল্প দাঁড় করাতে না পারলে অর্থনীতির গতি সচল হয় না। এসব ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জবাবদিহিতা থাকার ব্যবস্থা রাখতে হবে। জবাবদিহিতা না থাকলে দেশ অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে যাবে। ঘুষ আর দুর্নীতির কারণে জবাবদিহিতা থাকছে না। গোটা বিশ্বময় করোনা সমস্ত পরিকল্পনা ওলটপালট করে দিয়েছে। তারপরও চীন, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, কিউবা, তুরস্কসহ আরো কিছু দেশ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়েছে। জাপান কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া এরাও এগিয়েছে। করোনাভাইরাস মোকাবেলায় অন্যতম উপায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাওয়া। অরগানাইজেশন অব ইকোনোমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের ( ওইসিডি) মতে ২০২০ সালের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ২০১৯ সালের প্রবৃদ্ধির অর্ধেক হবে। করোনার এই অভিঘাত থেকে বাংলাদেশও মুক্ত নয়। লক্ষণীয়, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির বেশির ভাগ সূচকই নিম্নমুখী। করোনার প্রাদুর্ভাব যদি আরো বাড়তে থাকে তাহলে অর্থনীতির গতি আরো শ্লথ হবে। সেহেতু সরকারের জন্য চলতি বছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য পূরণ বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এরই মধ্যে বলেছে, বাংলাদেশের জিডিপি সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে এক দশমিক এক ভাগ কমে যেতে পারে।
রফতানি বাণিজ্যিকে টেকসই করতে হলে পণ্য বহুমুখীকরণের পাশাপাশি ভৌগোলিক বহুমুখীকরণ প্রয়োজন। বিগত দশকে রফতানি শিল্পে আমাদের অন্যতম অর্জন এই বহুমুখীকরণ। গত একদশকে দেশের রফতানি আয় প্রায় তিন গুণ বেড়েছে। পোশাক শিল্পের রফতানি দিয়ে শুরু করলেও ধীরে ধীরে বিভিন্ন প্রচলিত ও অপ্রচলিত শিল্পের বিকাশ রফতানি খাতে নতুন নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করছে। আজ বিশ্বের সবচেয়ে দামি রিটেইল স্টোর্সে বিক্রির জন্য শোভা পায় আমাদের তৈরি সিরামিক পণ্য। ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাপী সুনাম অর্জন করেছে আমাদের ওষুধ শিল্প। সাথে চায়ের কদর কারো অজানা নয়। বাংলাদেশে তৈরি বাইসাইকেল এখন ইউরোপের বাজারে শীর্ষ পাঁচটির মধ্যে একটি। আমদানিনির্ভরতা কমিয়ে রফতানি বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের এ পথ চলা সফল হোক। এটাই জাতির একান্ত প্রত্যাশা। করোনা এখনো চলছে ক্ষতির পরিমাণটা কত হবে তা এই মুহূর্তে বলা কঠিন। তারপরও অনুমান করা যায়Ñ প্রতিদিন কৃষি, শিল্প, বাণিজ্য এবং সেবা খাতে গড়ে চলতি ক্ষতির পরিমাণ কমপক্ষে তিন হাজার ৫০০ কোটি টাকার মতো হবে। স্বাস্থ্য খাতের বেসরকারি অংশটিতে একপ্রকার অচলাবস্থা বিরাজমান। করোনাকালীন এই ক্ষতির আশঙ্কা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে দুর্নীতির মূলোৎপাটন করা জরুরি। তাহলেই মাথাপিছু আয়, প্রবৃদ্ধি, জিডিপি এবং রিজার্ভের অঙ্ক জ্যামিতিক হারে বাড়বে। এই দুঃসময়ে গ্রামীণ অর্থনীতিই আমাদের অন্যতম অবলম্ব হতে পারে।
লেখক : গ্রন্থকার