ঝিনাইদহে টাকা ছাড়া মিলছে না বিনামুল্যের সরকারী বই

0

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ॥ ঝিনাইদহে টাকা না দিলে পাওয়া যাচ্ছে না সরকারী বই। শিার্থী ও অভিভাবকেরা অভিযোগ করেন, সেশন ফি ও ভর্তি ফিসহ নানা অজুহাতে নেওয়া হচ্ছে টাকা। আর পুরাতন বই জমা দিতে না পারলে বই প্রতি নেওয়া হচ্ছে ৫০ টাকা। সদর উপজেলার ঘোড়শাল হামিদিয়া দাখিল মাদ্রাসা গিয়ে মিলেছে এমন তথ্য। জেলা প্রশাসন ও শিা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। আর ওই মাদ্রাসার সুপার মোঃ ওয়াজেদ আলী বলছেন ভর্তি ফির টাকা ছাড়া কোন টাকা নেওয়া হচ্ছে না। এদিকে শিা অফিসের প থেকে জানানো হয়েছে সোমবার দু সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ভুক্তোভোগি অভিভাবক ও শিার্থীরা জানান, উৎসব ছিলো বিনামুল্যে বই পাওয়ার। আর নতুন বই পাওয়ার আনন্দে এসেছিলো ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ঘোড়শাল হামিদিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিার্থীরা। সে আনন্দে ভাটা পড়ে মাদ্রাসার সুপার মোঃ ওয়াজেদ আলীর টাকা নেওয়ার দাবীতে। মাদ্রাসা সুপারের সাফ কথা সরকারী বই নিতে হলে ভর্তি ফির টাকা দিতে হবে। তা না হলে কোন সরকারী বই দেওয়া হবে না। সুপারের এই কথায় বিপাকে পড়েন শিক্ষার্থীরা। অনেকে ৩৫০ থেকে ৭৫০ টাকা পরিশোধ করে নিয়েছে নতুন বই। আর পুরানো বই হারিয়ে গেলে দিতে হচ্ছে বই প্রতি ৫০ টাকা করে জরিমানা। ঘোড়শাল গ্রামের কৃষক নুর ইসলামের ৭ম শ্রেনীর ছাত্রী রিতু সাড়ে তিনশত টাকা পরিশোধ করেই পেয়েছে নতুন বই। হত দরিদ্র ইসাহাকের ৮ম শ্রেনীর কন্যা শান্তা টাকা দিতে না পারার কারনে নতুন বই থেকে বঞ্চিত হয়েছে। টাকা নেওয়ার ঘটনা জানাজানি হলে এলাকার শিার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে ব্যাপক ােভের সৃষ্টি হয়। অভিযুক্ত সুপার ওয়াজেদ আলী টাকার বিনীময়ে বই বিতরণ অস্বীকার করে বলেন, বিনামুল্যে বই দেওয়া হচ্ছে। ভর্তি ফির টাকা নেওয়া হচ্ছে। শিার্থী ও অভিভাবকেরা ভুল বুঝে এমন কথা রটাচ্ছেন। স্থানীয় চেয়ারম্যান পারভেজ মাসুদ লিল্টন জানান, যারা সরকারের বিনামুল্যের বই বিতরণে টাকা চায়, তাদের শাস্তি হওয়া উচিৎ। মাধ্যমিক শিা কর্মকর্তা মোজাফফর হোসেন পলাশ জানান, শিা অফিসের প থেকে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে জড়িত সুপারসহ শিকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, আমি দুই সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে দিয়েছি। জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ জানান, ঘোড়শাল হামিদিয়া দাখিল মাদ্রাসায় টাকা ব্যাতিত বই দিচ্ছে না সে বিষয়ে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছি। প্রমানিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।