ধর্ষণচেষ্টায় চিৎকার করায় শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যা

0

স্টাফ রিপোর্টার॥ যশোরের কেশবপুরে শিশু রত্না খাতুন (৯) হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তাদের দাবি, ধর্ষণচেষ্টার সময় চিৎকার করায় শিশুটির নাক-মুখ চেপে ধরে হত্যা করেন নানা (রত্নার বাবার মামা) ইসমাইল হোসেন। পিবিআইয়ের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইসমাইল জানান, হত্যার পর ঘটনা আড়াল করতে ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে শিশুটিকে ঝুলিয়ে দেন তিনি। পরে এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা হলে তিনি পালিয়ে যান। এ ঘটনায় সোমবার (৪ জানুয়ারি) যশোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন অভিযুক্ত ইসমাইল হোসেন (৩২)। তিনি কেশবপুর উপজেলার আলতাপোল সরদারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তাকে রোববার রাতে পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। নিহত রত্না খাতুন আলতাপোল সরদারপাড়া গ্রামের জাহিদুল ইসলামের মেয়ে।
আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে ইসমাইল জানিয়েছেন, শিশু রত্নার বাবা জাহিদুল তার নানার বাড়িতেই বসবাস করে। জাহিদুল তার আপন ভাগনে এবং সে সম্পর্কে রত্না খাতুন তার নাতনি। গত ২১ নভেম্বর বিকেলে অভিযুক্ত ইসাইল তার অসুস্থ বাবাকে দেখার জন্য জাহিদুলের বাড়িতে যান। সেই সময় ভুক্তভোগী রত্না ঘরে একা টিভি দেখছিল। তখন ইসমাইল ঘরে ঢুকে শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তখন সে চিৎকার দিতে গেলে ইসমাইল নাক-মুখ চেপে ধরলে রত্না নিস্তেজ হয়ে পড়ে। পরে শিশুটির গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে কৌশলে পালিয়ে যান। এ প্রসঙ্গে পিবিআই যশোরের পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন বলেন, গত ২১ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঘরের বাঁশের আড়ার সঙ্গে ওড়নায় ঝুলন্ত অবস্থায় রত্না খাতুনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ওইদিন কেশবপুর থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়। পরে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে শিশুটির বাবা জাহিদুল ইসলাম অজ্ঞাতনামা আসামি করে কেশবপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। রেশমা শারমিন আরও বলেন, এরপর মামলাটি পিবিআই স্ব-উদ্যোগে তদন্ত শুরু করে। রোববার রাতে পটুয়াখালী জেলা পুলিশের সহায়তায় কলাপাড়া থানা এলাকা থেকে ইসমাইল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করেন। আজ সোমবার তাকে আদালতে নেয়া হলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।