শিক্ষককে ‘মাথা ফাটিয়ে খুন’ করার হুমকি : অভিযুক্ত সহকারী প্রক্টরকে অব্যাহতির দাবি

0

ইবি সংবাদদাতা॥ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষক আলতাফ হোসেনকে ‘মাথা ফাটিয়ে খুন’ করার হুমকির ঘটনায় সহকারী প্রক্টর এম এম নাসিমুজ্জামানের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। অভিযোগপত্রে ভুক্তভোগী শিক্ষক নিজের নিরাপত্তা ও বিচারের দাবি জানিয়েছেন। শনিবার (২ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও প্রক্টরকে অভিযোগ দেন তিনি।
অভিযোগপত্রে তিনি গত শুক্রবারের (১ জানুয়ারি) হুমকির ঘটনার পূর্ণ বিবরণ এবং ইবি থানায় করা সাধারণ ডায়েরির কথা উল্লেখ করেছেন। ইবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম আব্দুল লতিফ বলেন, ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় বিষয়টি তিনি আমাকে ফোনে জানিয়েছেন। অভিযোগপত্রটি অফিসে আছে। জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আবদুস সালাম বলেন, বিষয়টি নিয়ে উপ-উপাচার্য ও প্রক্টরের সঙ্গে কথা হয়েছে। নিরাপত্তা দেয়া যার দায়িত্ব তিনি যদি সহকর্মীকে হুমকি দেন, সেটি খুব দুঃখজনক।
এদিকে উভয়পক্ষকে নিয়ে শনিবার (২ জানুয়ারি) সকালে মিমাংসা বৈঠক করেও সমাধানে আসতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি বলেন, আমরা চাই ক্যাম্পাসে উভয়ের সহাবস্থান বজায় রেখে সম্মানজনকভাবে বিষয়টি সমাধান হোক। ঘটনার পুনরাবৃত্তি হোক এটা আমরা চাই না। উপাচার্য ক্যাম্পাসে আসলে আলোচনার মাধ্যমে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে। এ ঘটনায় ক্যাম্পাসের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ জানিয়ে অবিলম্বে অভিযুক্তকে সহকারী প্রক্টরের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া দাবি করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এনিয়ে ক্ষোভ জানিয়ে পোস্ট করছেন শিক্ষার্থীরা। নূর আলম নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, এ ঘটনার দ্বারা তিনি অতীত আচরণ ও চরম উগ্রতার প্রমাণ করেছেন। তার খুঁটির জোর কোথায় তা বের করতে হব। প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি তাকে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। দেলাওয়ার হোসেন নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, এমন পৈশাচিক শিক্ষক সহকারী প্রক্টরের দায়িত্ব পায় কিভাবে? বানরের হাতে লাঠি পড়লে যা হয়। এদের কাছে এর থেকে বেশি আশা করা যায় না। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পূর্বশত্রুতার জের ধরে শুক্রবার দুপুরে আবাসিক এলাকা মেঘনা ভবনের পেছনে আল ফিকহ্ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আলতাফ হোসেনেকে লাঠি হাতে মারতে তেড়ে যান অভিযুক্ত সহকারী প্রক্টর নাসিমুজ্জামান। তা ঠেকিয়ে তিনি কোনরকমে প্রাণে বেঁচে যান। এসময় তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করার অভিযোগ ওঠে। আশেপাশের কোয়ার্টারে অবস্থানরত অন্য শিক্ষকরা সহকারী প্রক্টর নাসিমুজ্জামানকে নিবৃত্ত করেন। ঘটনার পরপরই ভুক্তভোগী শিক্ষক ইবি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।