যশোর কারাগারে কয়েদির মৃত্যু

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের করোনা, আইসোলেশন ওয়ার্ড থেকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নেয়ার পথে মোশারফ হোসেন (৬০) নামে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক কয়েদির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল ভোরে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কারাগার সূত্র জানিয়েছেন, ৩০ ডিসেম্বর জ্বরে আক্রান্ত হলে কয়েদি মোশারফ হোসেনকে কারা আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছিল। যেখানে ৩০ ডিসেম্বর গভীর রাতে অবস্থার অবনতি হলে আইসোলেশন ওয়ার্ড থেকে ভোর ৪টা ১৫ মিনিটে চিকিৎসার জন্য তাকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়। তখন কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুর রশিদ তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মোশারফ হোসেনের কয়েদি নং-৩৫১৬/এ। বাড়ি খুলনার ফুলতলা উপজেলার ঢাকুরিয়া গ্রামে। পিতার নাম আব্দুল মোল্যা। মৃত্যুর পর যশোরের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ডাঃ মাহমুদুল হাসানের উপস্থিতি কোতয়ালি থানার এসআই ইদ্রিসুর রহমান লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন। ডাঃ মাহমুদুল হাসানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তার জ্বর ছিল এটা ঠিক। কিন্তু করোনায় আক্রান্ত হয়েছিল কিনা তা বুঝা মুশকিল। কারণ, মৃত্যুর ৬/৭ ঘন্টা পর লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল মর্গে গতকাল তার লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে মৃতের ছেলে বাবু মোল্যা তার পিতার লাশ দাফনের জন্য নিজ বাড়িতে নিয়ে যান।
কারাসূত্রে জানা গেছে, ভাবীকে হত্যার দায়ে তার বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী মামলা হয়। ওই মামলায় ২০০৭ সালে খুলনার অতিরিক্ত দায়রা জজ ১ম আদালত থেকে মোশারফ হোসেনকে যাবজ্জীবন (৩০ বছর) সাজা প্রদান করা হয়। ২০১২ সালের ২৮ আগস্ট রায় কার্যকর হয়। এ সময় তিনি খুলনা জেলা কারাগারে আটক ছিলেন। পরে খুলনা জেলা কারাগার থেকে ২০২০ সালের ৮ মার্চ মোশারফ হোসেনকে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছিল।