যশোরে কালো দিবসের সমাবেশে অধ্যাপক নার্গিস বেগম : সরকারের দুর্বল পররাষ্ট্রনীতির কারণে সীমান্তে নির্বিচারে মানুষ হত্যা চলছে

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের নির্বিচারে হত্যার প্রতিবাদে ঘোষিত কালো দিবসের সমাবেশে যশোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম বলেছেন, সরকারের দূর্বল পররাষ্ট্র নীতির কারণে সীমান্তে বাংলাদেশীরা নির্বিচারে হত্যার শিকার হচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকার দেশের জনগণের কাছে অত্যাচারী ও বিদেশিদের কাছে নতজানু। অনেক আগেই তারা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পুরোপুরিভাবে ব্যর্থ হয়েছে। যে কারণে সীমান্তে বিএসএফ বাংলাদেশিদের পাখির মত গুলি করে হত্যা করছে। এটা এখন স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। গতকাল সোমবার যশোর জেলা বিএনপি কার্যালয়ে আয়োজিত সমাবেশে সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। জেলা কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন এবং কালো ব্যাজ ধারনের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়। সমাবেশে অধ্যাপক নার্গিস বেগম আরও বলেন, ভারত মানবাধিকার লঙ্ঘন করে সীমান্তে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করে যাচ্ছে। তারপরও আওয়ামী সরকার প্রতিনিয়ত ভারতকে প্রশংসায় পঞ্চমুখ। সরকার ভারতের প্রতি এতটাই নতজানু যে, সীমান্তে মানুষ হত্যার প্রতিবাদ করা তো দূরের কথা, জনগণের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে ভারতের স্বার্থকে প্রাধান্য দিচ্ছে। ভারত কোন দিনই বাংলাদেশের বন্ধু ছিল না। তারা সবসময় প্রভুর মত আচরণ করে। বিডিআর হত্যার মধ্য দিয়ে পরিকল্পিতভাবে সীমান্ত রক্ষার মেরুদণ্ড ভেঙে দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সরকার যে ভারতকে নিয়ে এতটা মাতামাতি করে, সেই ভারত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনেও আমাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। ১৯৯১ সালে সীমান্তে বাংলাদেশিদের ওপর নির্যাতন চালানোর পাঁয়তারা করলে তখনকার প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া কঠোরভাবে তা প্রতিহত করে। যে কারণে তার শাসনামলে ভারত সীমান্তে বাংলাদেশিদের প্রতি এমন বর্বরতা চালানোর সাহস পায়নি। যখন সিলেটে ভারতীয় কৃষক বাংলাদেশের মধ্যে প্রবেশ করে চাষাবাদ করার চেষ্টা চালায় তখন কৃষকরাই ঐক্যবদ্ধভাবে তাদেরকে প্রতিহত করে। আজ এমন পরিস্থিতিতে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাড. মোহাম্মদ ইসহক, আব্দুস সালাম আজাদ, নগর বিএনপির সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র মারুফুল ইসলাম, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি নূর-উন-নবী প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাড. হাজী আনিছুর রহমান মুকুল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য প্রফেসর গোলাম মোস্তফা, আব্দুস সবুর মন্ডল, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুনীর আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আজম, জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান, জেলা মহিলা দলের সহসভানেত্রী ফেরদৌসী বেগম, জেলা কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ মকবুল হোসেন, জেলা কৃষকদলের সভাপতি এম তমাল আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক কবির হোসেন বাবু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি রবিউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আমির ফয়সাল, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাজিদুর রহমান প্রমুখ।