গুলি করে হত্যা প্রচেষ্টা মামলা : মনিরামপুরে চরমপন্থী দেবুসহ ১০ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরের মনিরামপুর উপজেলার সমলডাঙ্গা বিলে চাঁদা না পেয়ে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা মামলায় চরমপন্থী দেবু সরকার ওরফে দেবু মেম্বারসহ ১০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে ডিবি পুলিশ। এছাড়া ঠিকানা না পাওয়ায় মহিতোষ সরকার নামে এক আসামির অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে চার্জশিটে। ডিবি পুলিশের এসআই ইব্রাহিম হোসেন আদালতে এই চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে অভিযুক্তরা হলেন, মনিরামপুর উপজেলার কুমারসীমা গ্রামের জনার্ধন সরকারের ছেলে দেবু সরাকার ওরফে দেবু মেম্বার, সুবলকাঠি গ্রামের ছন্নোত আলীর ছেলে জনি, মোতালেব বিশ্বাসের ছেলে জিকো হোসেন, ভোমরদাহ গ্রামের কায়েম গাজীর ছেলে মাসুদ হোসেন, পাঁচবাড়িয়া গ্রামের তপন মল্লিকের ছেলে সুরঞ্জিত মল্লিক, শংকর সরকারের ছেলে শৈলেন সরকার, ইত্যা গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে সাইফুল ইসলাম, নেবুগাতি গ্রামের মৃত গোবিন্দ মন্ডলের ছেলে তাপস মন্ডল, জীবন বিশ্বাসের ছেলে পাইচো বিশ্বাস পাঁচু ও অভয়নগর উপজেলার আন্ধা গ্রামের গনেশ মল্লিকের ছেলে দিপংকর।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, মনিরামপুরের শ্রীপুর গ্রামের বাসিন্দা মনিরুজ্জামান সমলডাঙ্গা বিলের পানি নিষ্কাশন করার জন্য স্থানীয় জমির মালিকদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন। চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি তিনি সেচ পাম্প দিয়ে বিলের পানি নিষ্কাশনের কাজ শুরু করেন। এরই মধ্যে মনিরুজ্জামানের সেচকাজে নিয়োজিত মিস্ত্রি আবুল হোসেনের মোবাইল ফোনে অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি কল দিয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। আবুল হোসেন বিষয়টি মনিরুজ্জামানকে জানালে তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনার পর গত ৩১ জানুয়ারি রাতে মনিরুজ্জামান ও তার শ্যালক জাহিদুল খালপাড়ের টোঙ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। গভীর রাতে একদল সন্ত্রাসী খালের পশ্চিম পাড়ে এসে তাদের ঘুম থেকে ডেকে তোলেন। এরপর তারা তাদের দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দেয়ায় বন্দুক দিয়ে ওই দুজনকে গুলি করেন। গুলিতে মনিরুজ্জামান ও জাহিদুল গুরুতর আহত হন। পরে টোঙঘরে আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যান। এ ব্যাপারে মনিরুজ্জামানের ভাই শিকদার হোসেন চাঁদা দাবি ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে মনিরামপুর থানায় মামলা করেন। এ মামলার তদন্তকালে ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত দেবু মেম্বারসহ ৬ জনকে আটক ও বন্দুক উদ্ধার করে। অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় আলাদা মামলাও হয়। আটকদের আদালতে সোপর্দ করা হলে তারা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। এছাড়া তদন্তে ঘটনার সাথে জড়িত আরও চার জনের নাম প্রকাশ পায়। এর প্রেক্ষিতে উল্লিখিত ১০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে ডিবি পুলিশ। চার্জশিটে অভিযুক্ত শৈলেন ও দিপংকরকে পলাতক দেখানো হয়েছে।