দেশে রাজনৈতিক মহামারি চলছে : রিজভী

0

লোকসমাজ ডেস্ক ॥ বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘দেশে একদিকে প্রাকৃতিক বিপর্যয়, অন্যদিকে রাজনৈতিক মহামারি চলছে। কথা বলা যায় না, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা যায় না। কথা বললেই মিথ্যা মামলা দিয়ে দিবে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এমন পরিস্থিতিতে দেশ চলতে পারে না।’ রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেন রোড এলাকায় শনিবার ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আজিজুর রহমান মুসাব্বিরের উদ্যোগে দুস্থ ও অসহায়দের শীতবস্ত্র বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘জনগণের পাশে থেকে আমাদের আরো প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। প্রতিরোধ গড়ে তুলতে না পারলে কারো জীবনের নিরাপত্তা নেই। কারো সন্তানের নিরাপত্তা নেই। যেকোনো সময় যে কেউ গুম হতে পারে, যেকোনো সময় যে কেউ বিচারবহির্ভূত হত্যা হতে পারে। একটা ছেলে মিছিল করলে তাকে পুলিশ গুলি করে হত্যা করবে, কেউ কিছুই বলবে না। সীমান্তে আমাদের লোক মারা যায় অথচ আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের দুষ্ট ছেলেরা অস্ত্র নিয়ে যায় বলে বিএসএফ গুলি করে হত্যা করে।’ রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের মানুষকেই ধিক্কার দিচ্ছে, অথচ যারা গুলি করে মারে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে পারে না। এই নতজানু সরকার মতায় থাকলে আমাদের স্বাধীনতা থাকবে না সার্বভৌমত্ব থাকবে না আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড?াতে পারবো না।’ বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃসময় পার করছি আমরা। কঠিন দুঃসময়। কথা বলা যায় না। কোনো সমাবেশ-মিটিং করা যায় না। একদিকে মিথ্যা মামলা গ্রেপ্তার, আর না হলে হামলা, এর মধ্যেই বিএনপি নেতাকর্মীদের জীবন অতিবাহিত করতে হচ্ছে। তারপরেও কিন্তু নেতাকর্মীরা বসে নেই। আমাদের নেতাকর্মীরা সাধারণ মানুষের পাশে আছে। অসহায় মানুষের পাশে আছে নিরন্ন এবং আর্তমানবতার সেবায় তারা নিয়োজিত আছেন।’ বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘করোনাভাইরাসে গোটা জাতি থর থর করে কাঁপছে। হাসপাতালে সিট নাই, অক্সিজেন নাই। আইসিইউতে সিট নাই। কারো যদি করোনা সন্দেহ হয়, সেটি টেস্ট করে রেজাল্ট বের করতে সময় লাগে ৪৮ ঘণ্টা। এর মধ্যে রোগীর অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। রোগীর জন্য যে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দরকার সেটার কোনো ব্যবস্থা নাই। আজকে ঢাকা শহরের কোনো হাসপাতালে আইসিইউ বেড নেই। মানুষ কাতরাচ্ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে, হাসপাতাল থেকে ফিরে আসছে। মুমূর্ষ অবস্থায় তারপরে ধুঁকতে ধুঁকতে জীবন চলে যাচ্ছে। ৭০ শতাংশ হাসপাতালে অক্সিজেনের কোনো সুবিধা নেই। করোনা রোগীদের বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন হচ্ছে অক্সিজেন। মানুষ কেন মারা যাবে না, প্রতিদিন শুধু মৃত্যুর মিছিল, এরকম একটা দুঃসময়ের মধ্যে আমাদেরকে জীবনযাপন করতে হচ্ছে।’