যশোরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করায় স্ত্রী সালমা আক্তার সাথীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে রফিকুল ইসলাম নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। এছাড়া ভরণপোষণ না দেয়ার তার বিরুদ্ধে পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সালমা আক্তার সাথী। যা তদন্ত করছেন পুরাতন কসবা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইনসপেক্টর শাহিনুর রহমান। সালমা আক্তার সাথীর অভিযোগ, দেড় বছর আগে যশোর শহরের রেলগেট পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা রফিকুল ইসলামের সাথে তার ২ লাখ টাকা দেনমোহরে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর রফিকুল ইসলাম মাদকের ব্যবসাসহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে থাকেন। এ কারণে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও হয়েছে। সর্বশেষ গত ২০ মার্চ বিকেলে সৈয়দ শামীমুজ্জামান নামে এমএম কলেজের এক ছাত্রকে শহরতলীর ঝুমঝুমপুর থেকে অপহরণ করে নিয়ে যান তার স্বামীসহ কয়েকজন। তাকে আটক রেখে ৩০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। ভুক্তভোগী সৈয়দ শামীমুজ্জামানের বড়ভাই ৩ হাজার ৪শ’ টাকা বিকাশে দিলেও এতে তারা সন্তুষ্ট না হয়ে তাকে মারপিট করেন। পরে খবর পেয়ে কোতয়ালি থানার পুলিশ ওইদিন রাতে সৈয়দ শামীমুজ্জামানকে উদ্ধার করে। এ সময় তার স্বামী রফিকুল ইসলামসহ ৫ জনকে পুলিশ আটক করে। ওই মামলায় জামিন করাতে তার (সালমা আক্তার সাথী) অর্ধলাখ টাকা খরচ হয়েছে। এই টাকা তিনি বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে ধার করেন। কিন্তু কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে তার স্বামী গোপনে আরও একটি বিয়ে করেছেন। ওই স্ত্রীকে নিয়ে তার স্বামী শহরের মিশনপাড়া একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস করছেন। তবে তাকে ভরণ পোষণ দেয়া হচ্ছেনা। এছাড়া তিনি তার স্বামীকে মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে অনুরোধ জানালে তাকে মারপিট করা হয়। এ কারণে তিনি পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এই অভিযোগটি তদন্তের জন্য কসবা পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ ইনসপেক্টর শাহিনুর রহমান তদন্ত করছেন। এ বিষয়টি জানতে পেরে তার স্বামী তাকে অব্যাহত হুমকি দিতে থাকেন। ফলে জীবন রক্ষার্থে গত ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আইনি সহায়তা পেতে কোতয়ালি থানায় যান। বিষয়টি তার স্বামী জানতে পেরে সন্ত্রাসীদের সহায়তায় তাকে থানার সামনে থেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা এবং মারধর করেন। পুলিশ বিষয়টি দেখতে পেয়ে এ সময় তাকে উদ্ধার করেন। পুরাতন কসবা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইনসপেক্টর শাহিনুর রহমান সাংবাদিকদের এ বিষয়ে জানান, তদন্ত শেষের দিকে। ওই নারীর অভিযোগের কিছুটা সত্যতা পাওয়া গেছে।