“যশোরের সোহাগ হত্যা মামলার বাদী হলেন বাঘারপাড়ার হত্যা মামলার আসামি”

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর শহরের পুরাতন কসবা কাজীপাড়ার সোহাগ হত্যা মামলাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে বাদীপক্ষকে পরিকল্পিতভাবে বাঘারপাড়ার একটি হত্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে প্রেসকাব যশোরে এক সংবাদ সম্মেলনে নিহত সোহাগের মা রাহেলা বেগম এ অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে রাহেলা বেগমের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার বড় ছেলের স্ত্রী হোসনে আরা বেগম। বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, ২০১৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাত সোয়া ১২ টায় তার (রাহেলা বেগম) ছোটছেলে সোহাগ কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে বাসার সামনেই খুন হয়। শহরের চিহ্নিত সন্ত্রাসী কাজল, তরুন, টিপু, সাগর, ডাবলু, আলামিন, আকাশসহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজন তাকে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করে। পরে এ ঘটনায় তার বড়ছেলে সোমরাজ যশোর কোতয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলার তদন্তকালে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় অন্যতম আসামি আকাশ ও আলামীন। এসময় তারা আদালতে এ হত্যাকান্ডের পরিকল্পনাকারী পুরাতন কসবার বাসিন্দা জেলা যুবলীগ নেতা জাহিদ হোসেন মিলন ও তৌহিদ চাকলাদার ফন্টুর নাম স্বীকার করে। পরে পুলিশ যুবলীগ নেতা জাহিদ হোসেন মিলন ও তৌহিদ চাকলাদার ফন্টুর নাম উল্লেখ করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। তিনি বলেন, এরপর থেকেই আসামি পক্ষ তাদের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করে। এমনকি তার ছেলে সোমরাজকে হত্যার পরিকল্পনা করতে থাকে তারা। এরই মধ্যে গত ১০ ডিসেম্বর বাঘারপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদের উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে গোলযোগের সৃষ্টি হয় এবং সে ঘটনায় একজন মারা যান। এ ঘটনায় বাঘারপাড়া থানায় একটি হত্যা মামলাও হয়। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো ওই মামলার এজাহারে ১৭ নম্বর আসামি হিসেবে তার ছেলে সোমরাজের নাম দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করে বলছি, হত্যা মামলাটিতে আমার ছেলেকে অন্তর্ভুক্ত করার পেছনে সোহাগ হত্যা মামলার আসামিদের সম্পৃক্ততা রয়েছে। অথচ ওইদিন আমার ছেলে সোমরাজ যশোর সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান পদের উপনির্বাচন চলাকালে পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সেবাসংঘ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। যা স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারাও জানেন।’ রাহেলা বেগম বলেন, ‘আমি একজন বিধবা নারী। আমাকে নিঃস্ব করার জন্যই ছেলের খুুনিরা মরিয়া হয়ে উঠেছে। তারা আমার ছেলে সোমরাজকে হত্যার পরিকল্পনার পাশাপাশি মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি শুরু করেছে।’ তিনি এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তের জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে জেলা যুবলীগ নেতা তৌহিদ চাকলাদার ফন্টুর বক্তব্য নিতে গতকাল সন্ধ্যায় তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়, তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।