ফরিদপুর-পায়রা রেললাইনের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে পরামর্শক খরচ ৪৯ কোটি

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে বরিশাল হয়ে পায়রা বন্দর পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রকল্পের প্রথম সংশোধন অনুমোদন দিয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। এতে প্রকল্পটির ব্যয় ও সময় দুটোই বেড়েছে। পরিকল্পনা কমিশন সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
সূত্র বলছে, সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের এ প্রকল্পটির মূল বরাদ্দ ছিল ৪২ কোটি ৯৯ লাখ ৭১ হাজার টাকা। প্রথম সংশোধনীতে ৬ কোটি ৯৬ লাখ ৭৪ হাজার টাকা ব্যয় বাড়িয়ে করা হয়েছে ৪৯ কোটি ৯৬ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। তার মধ্যে ৪৯ কোটি ৩০ লাখ ৯০ হাজার টাকাই খরচ করা হবে পরামর্শক সেবায়। এছাড়া বিজ্ঞাপনে ৮ লাখ, গাড়িভাড়ায় ৩৩ লাখ ১৫ হাজার, অফিস স্টেশনারি ও অন্যান্য খরচ ৮ লাখ, সম্মানী ৮ লাখ, ভ্রমণ ভাতা ৪ লাখ এবং প্রকল্প ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের (পিএমইউ) জন্য অফিস উপকরণে ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা খরচ করা হবে। ২০১৬ সালের জুলাইয়ে শুরু হওয়া এ প্রকল্পটি ২০১৮ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা ছিল। পরে ছয় মাস সময় বাড়িয়ে করা হয়েছিল ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। এবার প্রথম সংশোধনীতে এর মেয়াদ আরও দেড় বছর বাড়িয়ে করা হলো ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত।
উল্লেখ্য, উন্নয়ন প্রকল্পে বারবার সময় ও খরচ বাড়ানোর বিষয়ে সম্প্রতি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় বিরক্তি প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু সেই ধারা কিছুতেই থামছে না। সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের ছোট প্রকল্পেও একাধিকবার সময় ও ব্যয় বাড়ানোর ঘটনা ঘটল। ‘বিশদ নকশা প্রণয়ন ও দরপত্র দলিল প্রস্তুতসহ ভাঙ্গা জংশন (ফরিদপুর) থেকে বরিশাল হয়ে পায়রা বন্দর পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষা (প্রথম সংশোধন)’ নামের প্রকল্পটি রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। প্রকল্পটির তৃতীয় প্রকল্প পরিচালক হিসেবে এখন কাজ করছেন শহীদুল ইসলাম। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘পরামর্শক খরচ যথার্থ আছে। আমার আগের প্রকল্প পরিচালক প্রস্তাব দিয়ে গেছেন, আমার হিসাবে এটা যথার্থ প্রস্তাব আছে। প্রধানমন্ত্রীর বেশকিছু নির্দেশনা আছে। ডিজাইনগুলো তো একেবারে সহজে করা যায় না। কষ্টসাধ্য আছে। তারপর কুয়াকাটা পর্যন্ত এটা বাড়াতে হবে, সব কিছু মিলিয়েই তো এত খরচ। আমাদের চিন্তাভাবনা কুয়াকাটা পর্যন্ত লাইনটা নিয়ে যাওয়ার। এতে নতুন ২৫ কিলোমিটার যোগ হয়েছে।’ ছোট্ট এ প্রকল্পে তিনবারের মতো সময় বাড়ানোর বিষয়ে শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা আশা করি এবার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে পারবো। এবার শেষ করা না গেলে আর জীবনেও শেষ করা যাবে না। অনেক কাজ করে ফেলেছি। বাকি অংশের কাজগুলোও আশা করি দিয়ে দিতে পারবো।’