যশোরে শিশুপুত্রকে হত্যার অভিযোগ মায়ের বিরুদ্ধে

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর সদর উপজেলার উত্তর ললিতাদাহ গ্রামের সামিরুল নামে এক শিশুকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শিশুটির পিতা মো. শিমুল স্ত্রীসহ ৪ জনকে আসামি করে সোমবার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পিটিশন মামলা করেছেন। তবে আদালতের বিচারক এ বিষয়ে কোনো আদেশ দেননি। অভিযুক্তরা হলেন, খুলনার ফুলতলা থানার যুগ্মীপাশা এলাকার বাসিন্দা মাহাবুর রহমান, তার স্ত্রী ছায়রা বেগম, মেয়ে মিতু খাতুন ও বোন পলি খাতুন। উত্তর ললিতাদাহ গ্রামের মো. জামির আলীর ছেলে মো. শিমুলের অভিযোগ, ২০১৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর খুলনার ফুলতলা থানার যুগ্মীপাশা এলাকার মাহাবুর রহমানের মেয়ে মিতু খাতুনের সাথে তার বিয়ে হয়। তার শ্বশুর মাহাবুর রহমান অন্যত্র দেনা ছিলেন। এই দেনা পরিশোধের জন্য শ্বশুর মাহাবুর রহমান, শাশুড়ি ছায়রা বেগম, স্ত্রী মিতু খাতুন ও ফুপু শ্বাশুড়ি পলি খাতুন তার কাছ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ধার নেন। কথা ছিলো ৩ মাসের মধ্যে ধার নেয়া টাকা পরিশোধ করবেন তারা। কিন্তু নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেলেও টাকা পরিশোধ না করে তারা ঘোরাতে থাকেন। ফলে কোনো উপায় না পেয়ে সমস্যার সমাধানের জন্য গত ২৯ আগস্ট তিনি শ্বশুর, শাশুড়ি ও ফুপু শাশুড়িকে খবর দিয়ে বাড়িতে ডেকে আনেন। তাদের কাছে এ সময় পাওনা টাকা দাবি করলে তারা পরিশোধে অপরাগত প্রকাশ করেন। এরই এক পর্যায়ে তারা তার অন্তঃসত্বা স্ত্রী মিতু খাতুনকে সাথে নিয়ে খুলনার ফুলতলার যুগ্মীপাশার বাড়িতে চলে যান। স্ত্রীর সোনার অলঙ্কার ও ব্যবহৃত কাপড় চোপড়ও তারা নিয়ে যান। গত ৬ সেপ্টেম্বর স্ত্রী মিতু খাতুন পিতার বাড়িতে একটি পুত্র সন্তান প্রসব করেন। তার নাম রাখা হয় সামিরুল। কিন্তু পরবর্তীতে স্ত্রীসহ অন্যরা পরস্পর যোগসাজসে তার সন্তানকে গলা টিপে হত্যা করেন। এরপর দাফনের জন্য গত ১২ নভেম্বর নিহত সামিরুলের লাশ যশোরে তার (বাদীর) বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। ওইদিন দুপুরে লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ ঘটনার পর শ্বশুর, শাশুড়ি ও ফুপু শাশুড়ি তার স্ত্রীকে প্ররোচিত করে খুলনার পাবলিক নোটারির মাধ্যমে গত ১৫ নভেম্বর তাকে তালাক দিতে বাধ্য করেন।