বাঘারপাড়ায় চিত্রা নদীতে অসংখ্য বাঁধ দিয়ে চলছে অবাধে মাছ শিকার, ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক স্রোত

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরের বাঘারপাড়ায় চিত্রা নদীতে আঁড়বাঁধ দিয়ে চলছে অবাধে মৎস্য শিকার। অসংখ্য বাঁধের কারণে পানির স্বাভাবিক ¯্রােতধারা ব্যাহত হচ্ছে। ফলে নদী নাব্যতা হারাচ্ছে, একইসাথে মাছশূন্যও হয়ে পড়ছে। দীর্ঘদিন এভাবে চলতে থাকলেও প্রশাসনের প থেকে কোনো পদপে নিতে দেখা যায় না। বাঘারপাড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তারা নিয়মিত আঁড়বাঁধ উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করছেন।
অভিযোগ রয়েছে, উপজেলা মৎস্য বিভাগের উদাসীনতার কারণে এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন অসাধু মৎস্য শিকারীরা। উপজেলা মৎস্য অফিসের ২শ গজ দূরে চিত্রা নদীতে দেওয়া হয়েছে আঁড়বাঁধ। প্রশাসনের নাকের ডগায় কিভাবে আঁড়বাঁধ দিয়ে মৎস্য শিকার হচ্ছে, এনিয়ে নদী পাড়ের মানুষের প্রশ্ন রয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, এসব অসাধু মৎস্য শিকারীর সাথে মৎস্য অফিসের কারো কারো রয়েছে গভীর সখ্যতা। শুধু উপজেলা সদর নয়, চিত্রা নদীর বিভিন্ন এলাকায় এমন আঁড়বাঁধ দেয়া রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এভাবে আঁড়বাঁধ দিয়ে মৎস্য শিকার করা হলেও উপজেলা প্রশাসনের তেমন কোনো তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। জানা গেছে, উপজেলার খাজুরা থেকে সীমাখালি ব্রিজ, বিল জলেশ্বর থেকে ধলগ্রাম স্লুইসগেট পর্যন্ত চিত্রা নদীর বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য আঁড়বাঁধ দিয়ে মাছ শিকারের মহোৎসব শুরু হয়েছে। নদীতে আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে স্বাভাবিক ¯্রােত বাধাগ্রস্ত করে মাছ শিকার নিষিদ্ধ। এসব বাঁধে বড় মাছের ছোট রেনু পোনা পর্যন্ত নিধন হচ্ছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, বাঘারপাড়া উপজেলা সদরের ব্রিজের নিচে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় একটি মহল চিত্রা নদীতে অবৈধভাবে আঁড়বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করছে। বাঘারপাড়া আওয়ামী লীগ অফিসের পাশে ব্রিজ থেকে কয়েকটি আড়ঁবাধেঁর দৃশ্য চোখে পড়ে। বাঁধ ছাড়াও নদীতে কারেন্ট জাল ও অবৈধ সরঞ্জাম দিয়ে মাছ ধরা হচ্ছে। ফলে দিনদিন খাল, বিল ও নদী মাছশূন্য হয়ে পড়ছে। অভিযোগ রয়েছে, বাঘারপাড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নিয়মিত অফিস করেন না। যেদিন অফিসে আসেন, দেরিতে আসেন, আগে যান। এ চিত্র প্রতিদেনেরই। স্থানীয়দের অভিযোগ, মৎস্য বিভাগের সঠিক তদারকি না থাকায় স্থানীয় কিছু মহল তাদের ইচ্ছামত আঁড়বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করছে। এমনকী উপজেলা সদরের মৎস্য অভয়াশ্রমটিও তদারকির অভাবে বিলুপ্তির পথে। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা পলাশ বালা জানিয়েছেন, ‘নদীতে আড়ঁবাধঁ থাকার বিষয়টি আমার জানা নেই। এমন হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ নিয়মিত অফিসে না আসার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিষয়টি সত্য না।