৪০০তম জয়ে রোনালদোর ইতিহাস সৃষ্টি

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ বয়সটা খুব বেশি নয়, মাত্র ৩৫! ফুটবলে, এই বয়সে অনেককেই দেখা যায় ডাগআউটে দাঁড়াতে। কিন্তু ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো দিব্যি খেলে যাচ্ছেন। দেখলে মনে হবে ২৫ বছরের টগবগে এক তরুণ। এখনও পায়ের কারুকাজে মুগ্ধ করে ছাড়েন ফুটবলপ্রেমীদের। রোববার রাতেও নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশ করলেন আরেকবার। করলেন জোড়া গোল। ইতালিয়ান সিরি-আ তে রোনালদোর জোড়া গোলে জেনোয়ার বিপক্ষে ৩-১ ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়লো জুভেন্টাস। ২০১৮ সালে জুভেন্টাসে যোগ দেয়ার পর ইতালির ওল্ড লেডিদের জার্সি গায়ে জেনোয়ার বিপক্ষে রোনালদোর এটা ছিল ১০০তম ম্যাচ। আর এই ম্যাচে এসেই দারুণ এক মাইলফলক স্পর্শ করলেন তিনি। ইউরোপের সেরা ৫ লিগের সমন্বয়ে ২০০০ সালের পর এই প্রথম এবং একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে ৪০০তম ম্যাচ জয়ের কৃতিত্ব স্থাপন করলেন সিআর সেভেন।
রোনালদোর পরেই রয়েছেন লিওনেল মেসি। তিনি জিতেছেন ৩৬৬টি ম্যাচ এবং ইতালির জিয়ানলুইজি বাফন রয়েছেন তিন নম্বরে। তিনি জিতেছেন ৩৫০টি ম্যাচ।
জেনোয়ার বিপক্ষে গোল দুটি কিন্তু রোনালদো করেছেন পেনাল্টি থেকে। এর আগে সর্বশেষ ম্যাচে বার্সার মাঠে গিয়ে জোড়া গোল করে এসেছিলেন সিআর সেভেন। সেই ম্যাচেও জোড়া গোল এসেছিল তার পেনাল্টি থেকে। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে রোনালদোর জোড়া পেনাল্টি গোলের কল্যাণেই মূলতঃ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরেছে জুভেন্টাস। জুভদের হয়ে বাকি গোলটি করেছেন পাওলো দিবালা। জেনোয়ার হয়ে একমাত্র গোল করেন স্টেফানো স্টুরারো। জেনোয়ার মাঠে গিয়ে প্রথমার্ধে তো গোলের জালেই খুঁজে পায়নি রোনালদোর জুভেন্টাস। দ্বিতীয়ার্ধের ১২তম মিনিটে এসে (৫৭তম মিনিটে) জুভেন্টাসের হয়ে প্রথম গোল করেন পাওলো দিবালা। ৬১ মিনিটে সেই গোল শোধ করে দেন স্টুরারো। ১-১ গোলে যখন ম্যাচ শেষ হওয়ার দিকে যাচ্ছিল, তখনই ত্রাতা হিসেবে সামনে আসলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ৭৮তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে জুভেন্টাসকে লিড এনে দেন রোনালদো। ৮৯তম মিনিটে আবারও পেনাল্টি। এবারও স্পট কিক থেকে গোল করতে সক্ষম হলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।
জুভেন্টাসের হয়ে ১০০তম ম্যাচ খেললেও রোনালদো গোল করেছেন ৭৯টি। এখন তার চোখ শততম গোলে। ম্যাচ শেষে সিআর সেভেন বলেন, ‘ভ্যাস্সিয়া সিগনোরা’র জার্সি পরে এই নাম্বারে পৌঁছেছি বলে গর্বিত। তবে, এরই মধ্যে আমি শততম গোল করার ব্যাপারে মনস্থির করে ফেলেছি।’ টানা ৯বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল জুভেন্টাস। এবার টানা ১০তম বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য তাদের। কিন্তু ১১ ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে জুভরা রয়েছে পয়েন্ট তালিকার চতুর্থ স্থানে। সমানসংখ্যক ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে এসি মিলান। ২৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ইন্টারমিলান। ২৩ পয়েন্ট নিয়ে ন্যাপোলির অবস্থান তৃতীয়।