কেশবপুরে মাছের ঘের নিয়ে উত্তেজনা, সংঘর্ষের আশঙ্কা

0

স্টাফ রিপোর্টার, কেশবপুব (যশোর) ॥ যশোর কেশবপুর উপজেলার সাগরদত্তকাটি আমতলা বিলের একটি মাছের ঘের নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন মুহূর্তে সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন জমির মালিকরা। এ নিয়ে মাইকিং করে ঘের অভ্যন্তরের জমির মালিকরা জরুরি সভা করেছেন।
একাধিক সূত্র জানায়, কেশবপুর পৌরসভাধীন আলতাপোল এলাকার ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান বিশ^াস ২০১৮ সালে পাঁজিয়া ইউনিয়নের সাগরদত্তকাটি আমতলা বিলে জমির মালিকদের কাছ থেকে ৩২৫ বিঘা জমি নিয়ে পাঁচ বছর মেয়াদে একটি মাছের ঘের করেন। ঘেরটি নেয়ার পর পর দু’বার বন্যা ও জলাবদ্ধতার কারণে প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হলে তিনি মালিকদের হারির টাকা পরিশোধ করে ঘেরটি ছেড়ে চলে আসেন। এরপর জমির মালিকরা পুনরায় কম মূল্যে তাকে আবারো মৎস্য চাষের জন্য ডিড করে দেন। সে মোতাবেক কামরুজ্জামান বিশ^াস আরও দেড় বছর মাছ চাষ করতে পারবেন। মেয়াদ থাকা সত্বেও কুচক্রি একটি মহল ঘের কমিটির তিন জনকে সাথে নিয়ে ঘেরটি দখলের চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। গত ৫ ডিসেম্বর বিকেলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে অপর ঘের মালিক কেরামত গাজীর ছেলে ইয়াছিন গাজীর নেতৃত্বে কেশবপুর, সাবদিয়া আলতাপোল ও সাগরদত্তকাটি গ্রামের একদল সন্ত্রাসী কামরুজ্জামানের মাছের ঘেরটি দখল করতে যায়। এ সময় গ্রামবাসীর ধাওয়া খেয়ে ঘেরের দখল নিতে ব্যর্থ হয়ে তারা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ঘের মালিক কামরুজ্জামান বিশ^াস ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন । কিন্তু এরপরও তারা থেমে থাকেনি। প্রতিনিয়ত জমির মালিকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তারা হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বর্তমানে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ফলে যে কোন সময় সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন জমির মালিকরা।
জমির মালিক সুকুমার জোয়ার্দার, আনন্দ মন্ডল ও তাজউদ্দিন জানান, তারা ঘের মালিক কামরুজ্জামান বিশ^াসের পক্ষে থাকায় তাদেরকে প্রতিনিয়ত হুমকি দেয়া হচ্ছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ১১ ডিসেম্বর বিকেলে সাগরদত্তকাঠি ঘের পাড়ে মাদ্রাসার মাঠে জমির মালিকরা মাইকিং করে মিজানুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে এক জরুরি সভা করেন। সভায় বক্তব্য রাখেন হাজী নুরউদ্দিন মাস্টার, আব্বাস আলী সরদার , হোচেন আলী, নাজিম উদ্দিন, শীতল মন্ডল, এনায়েত আলী, বদরুজ্জামান ও ঘের মালিক কামরুজ্জামান বিশ^াস। সভায় সর্বসম্মতভাবে বর্তমানে দেড় বছর মেয়াদ থাকলেও আগামী আরও পাঁচ বছরের জন্য কামরুজ্জামান বিশ^াসকে ঘেরটি ডিড করে দেয়া হয়। তারা সভা থেকে জানান, ঘের কমিটির মধ্যে মাত্র তিনজন কামরুজ্জামান বিশ^াসের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করে চলেছে। এ ব্যাপারে কেশবপুর থানা পুলিশের ওসি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ঘের দখল প্রচেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে ঘের মালিক কামরুজ্জামান বিশ^াস একটি জিডি করেছেন। তদন্তপূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে আইনাগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। কেশবপুরে কোন ঘের নিয়ে জনগণের মধ্যে অশান্তির সৃষ্টি করতে দেয়া হবে না।