যশোরে বিএনপি নেতা হোসেন হত্যা মামলার দুই নারী আসামির আত্মসমর্পণ

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর জেলা বিএনপির সাবেক নেতা ফেরদৌস হোসেন ওরফে হোসেন হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত দুই নারী আসামি রোববার আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই আদালতে হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিলের ৭ মাস পর তারা আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় আদালতের বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। আসামিরা হলেন-শহরের লোহাপট্টির আবুল হোসেনের স্ত্রী মমতাজ বেগম ও ঝিকরগাছা উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের মৃত আব্দুল ওহাবের স্ত্রী সালেহা খাতুন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২৩ মার্চ রাতে জেলা বিএনপির তৎকালীন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফেরদৌস হোসেনকে শহরের লোহাপট্টিতে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী নাজমুন নাহার মুক্তি অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে কোতয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে একই ঘটনায় তিনি আদালতে আরও একটি অভিযোগ দায়ের করেন। আদালতে দায়ের করা অভিযোগে শহরের লোহাপট্টির মৃত আনছার আলী বিশ্বাসের ছেলে ফারুক আহমেদ, তার স্ত্রী শিউলী বেগম, বোন মমতাজ বেগম, ভগ্নিপতি আবুল হোসেন এবং রেলগেট এলাকার মোতালেব হোসেন টুটুলকে আসামি করা হয়। আদালতের আদেশে পুলিশ এই অভিযোগটি মামলার সাথে অন্তর্ভুক্ত করে। ওই মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন কোতয়ালি থানা পুলিশের তৎকালীন এসআই তপন কুমার বিশ্বাস। তদন্তকালে তিনি আবুল হোসেনকে আটক করেন। এরপর মামলাটি সিআইডিতে স্থানান্তর করা হয়। এ সময় সিআইডি পুলিশ ঢাকা থেকে আটক করে অন্যতম অভিযুক্ত ফারুক আহমেদকে। পরবর্তীতে আলোচিত এই হত্যা মামলাটি পিবিআই তদন্তের দায়িত্ব পায়। তদন্ত শেষে পিবিআই’র এসআই ¯েœহাশীষ দাস চলতি বছরের এপ্রিলের প্রথম দিকে ৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এরা হলেন-শহরের লোহাপট্টির আনসার আলী বিশ্বাসের ছেলে ফারুক আহমেদ, তার স্ত্রী শিউলী বেগম, মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে আবুল হোসেন, তার স্ত্রী মমতাজ বেগম ও ঝিকরগাছা উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের মৃত আব্দুল ওহাবের স্ত্রী সালেহা বেগম। রোববার গ্রেফতার এড়াতে অভিযুক্ত মমতাজ বেগম ও সালেহ বেগম আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। তারা অসুস্থ দাবি করে অ্যাম্বুলেন্সে চড়ে আদালতে এসে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করায় বিকেলে পুলিশ একই অ্যাম্বুলেন্সে করে তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দেয়।