খুলনা সংবাদদাতা॥ ভিজিডি কার্ডের তালিকা প্রণয়নে অনিয়ম এবং হোল্ডিং ট্যাক্স বাবদ আদায়কৃত অর্থ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অভিযোগ খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার ৬ নম্বর যোগীপোল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শেখ আনিছুর রহমানকে চেয়ারম্যানের পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী স্বাক্ষরিক বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) এক প্রজ্ঞাপনে (নথি নং- ৪৬.০০৪৭০০.০১৭.২৭.০০১.১৫- ১৩৪) এই অপসারণের আদেশ দেওয়া হয়।
আদেশের কপি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর একান্ত সচিব, খুলনার জেলা প্রশাসক, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিবের একান্ত সচিব, দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রোগ্রামার, অতিরিক্ত সচিব (ইউপি) ও অপসারণকৃত চেয়ারম্যান শেখ আনিছুর রহমানকে দেওয়া হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ভিজিডি কার্ডের তালিকা প্রণয়নে অনিয়ম, হোল্ডিং ট্যাক্স বাবদ আদায়কৃত অর্থ আত্মসাৎ, যথাযথভাবে পরিষদের আয়-ব্যয়ের হিসাব সদস্যদের অবহিত না করা, জমি আছে ঘর নেই প্রকল্পে অনিয়মসহ বিভিন্ন অভিযোগে পরিষদের ১০ সদস্যের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। যেহেতু অনাস্থা প্রস্তাবের বিষয়ে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর ৩৯ ধারা অনুযায়ী সহকারী কমিশনার (ভূমি) দিঘলিয়া খুলনা কর্তৃক বিশেষ সভা আহবান করে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ও বিপক্ষে ভোট গ্রহণ করা হয় এবং অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ১০ ভোট পড়ে, যা দুই তৃতীয়াংশের বেশি। সেহেতু স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর ৩৯ (১৩) ধারার বিধান অনুযায়ী সরকার কর্তৃক জনস্বাস্থ্যে অনাস্থা প্রস্তাবটি অনুমোদিত হওয়ায় ৬ নম্বর যোগীপোল ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আনিছুর রহমানের পদটি একই আইনের ৩৫ (১) (চ) ধারা অনুযায়ী শুন্য ঘোষণা করা হলো। এ ব্যাপারে দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাহবুবুল আলম বলেন, যোগীপোল ইউপি চেয়ারম্যানের অপসারণের ব্যাপারে এখনো কোন আদেশ হাতে পাইনি। আদেশের কপি হাতে পাওয়ার পর আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য যোগীপোল ইউনিয়ন পরিষদের অপসারণকৃত চেয়ারম্যান শেখ আনিছুর রহমানের মোবাইল ফোনে কয়েকবার রিং করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।