যশোরে মান্নাত হত্যা : সাবেক স্ত্রী সুমিসহ ৩জন আজও আটক হয়নি

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরে আলোচিত ইসরাফিল হোসেন মান্নাত হত্যাকা-ের দেড় মাস পার হয়ে গেলে অন্যতম অভিযুক্ত শামীম হোসেন ও নিহতের সাবেক স্ত্রী শারমিন সুলতানা সুমিসহ ৩ জনকে এখনো আটক করতে পারেনি ডিবি পুলিশ। তবে তাদেরকে আটকের জোর প্রচেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে তদন্ত সংস্থাটি। অপরদিকে পলাতক আসামিদের আটক করে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নিহতের স্বজনরা।
সাবেক স্ত্রী শারমীন সুলতানা সুমির পরকীয়া নিয়ে সৃষ্ট দ্বন্দ্বের জেরে গত ২৩ অক্টোবর রাতে শহরের কারবালা এলাকায় নিজ ভগ্নিপতি শাহ আলমের পরিকল্পনায় খুন হন এস্কেভেটরচালক মান্নাত। সাবেক স্ত্রী সুমির সাথে পরকীয়া সম্পর্ক ছিলো ভগ্নিপতি শাহ আলমের। পরে শাহ আলম গোপনে তাকে বিয়েও করেন। এসব নিয়ে সৃষ্ট বিরোধের কারণে মান্নাতকে হত্যা করা হয়।
বকচর বিহারী কলোনির মৃত বজলুর রহমানের ছেলে মান্নাতকে সাবেক স্ত্রী সুমির বাসা চিনিয়ে দেওয়ার মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ি থেকে ডেকে এনে খুন করা হয়। হত্যাকা-ের পরদিন ২৪ অক্টোবর সকালে কারবালা এলাকার বাসিন্দা কৃষিবিদ শাহ আলমের বাড়ির সামনের রাস্তার পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। হত্যাকা-টি ছিলো কুলেস। ফলে কর্তৃপক্ষ মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয় ডিবি পুলিশকে। এরপর ডিবি পুলিশের একটি টিম তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে হত্যা রহস্য উদঘাটন এবং জড়িত ৪ জনকে প্রথমে আটক করে। আটক ৪ জন হচ্ছেন-সদর উপজেলার মাহিদিয়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে আল-আমিন ওরফে গ্যারেজ আল-আমিন, সুজলপুরের আব্দুর রশিদ শেখের ছেলে রায়হান শেখ, শফিকুল ইসলাম বাবুর ছেলে নয়ন হোসেন ও শহরের পুরাতন কসবা কাজীপাড়া কাঁঠালতলা এলাকার আবু তাহেরের ছেলে রিফাত। এ সময় তাদের স্বীকারোক্তিতে ডিবি পুলিশ হত্যাকা-ে ব্যবহৃত ইট ও এসএস পাইপ উদ্ধার করে ঘটনাস্থল থেকে। এর কয়েকদিন পর ডিবি পুলিশ যশোর থেকে ঢাকায় পালিয়ে যাওয়ার সময় মাগুরা সড়ক থেকে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ও হত্যা মিশনে অংশ নেয়া নিহতের ভগ্নিপতি শাহ আলম ও তার প্রাইভেটকারচালক আল-আমিনকে আটক করে ডিবি পুলিশ। শাহ আলমের বাড়ি শহরের পুরাতন কসবা মানিকতলায় এবং আল-আমিনের বাড়ি মুড়লি এলাকায়। তবে হত্যা মামলার অন্যতম আসামি শামীম হোসেন (শাহ আলমের ভাগ্নে), নিহতের সাবেক স্ত্রী সুমি ও তার মা সুফিয়া বেগমকে আজও পর্যন্ত আটক করতে পারেনি ডিবি পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই শামীম হোসেন জানান, তারা ইতোমধ্যে ঘটনার সাথে জড়িত ৬ জনকে আটক করতে পেরেছেন। বাকি ৩ জন শামীম, সুমি ও সুফিয়াকে আটকের জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। অপরদিকে নিহতের স্বজনেরা পলাতক ৩ আসামিকে আটক করে তাদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন পুলিশ প্রশাসনের কাছে। মুড়লি এলাকার একটি সূত্র জানায়, প্রাইভেটকারচালক আল-আমিন নানা অপরাধের সাথে জড়িত। তার বিরুদ্ধে রামনগরের আলমগীর হত্যা মামলাও রয়েছে।