ঝিকরগাছায় এক রাতে ২০ বিঘা জমির ৮শ আম গাছ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা

0

শার্শা(যশোর)সংবাদদাতা ॥ এ কেমন শত্রুতা! যশোরের ঝিকরগাছায় এক রাতে ২০ বিঘা জমির ৮ শত আম গাছ কেটে সাবাড় করে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার খরুষা গ্রামে। এ ব্যাপারে কৃষক মওদুদ আহম্মেদ দিপু বাদি হয়ে ঝিকরগাছা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ পেয়ে থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে এ ঘটনার সাথে জড়িত অভিযোগে কাউকে আটক করতে পারেনি।
সূত্রে জানা গেছে, দুর্বৃত্তরা গত ৯ ডিসেম্বর রাতে খরুষা মাঠে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ১৬জন কৃষকের ২০ বিঘা জমির প্রায় ৮শ আম গাছ কেটে দিয়েছে। যার ক্ষতির পরিমান প্রায় ১ কোটি টাকা। এ ঘটনায় খরুষা গ্রামের সাধারণ কৃষকদের মাঝে চরম আতংক বিরাজ ক্রছে। অন্য আতঙ্কিত কৃষকদের ভাবনা, যে কোন রাতে তাদেরও আম, পেয়ারা, কুল বাগানের গাছ কেটে দিতে পারে হয়তো দুর্বৃত্তরা। রাতের আঁধারে ফলের গাছ কাটায় কৃষকেরা দারুণভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন। তারা জানান, গত ৩ বছর ধরে আম বাগান পরিচর্যা করছেন। অনেক টাকা বাগানে খরচ করেছেন। এ বছর আম ধরবে তাদের বাগানে। অনেক গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। এমন সময় দুর্বৃত্তরা ক্ষতি করলো । এ তি পুষিয়ে নেয়ার কোনো মতা তাদের নেই বলে জানান কৃষকেরা। খরুষা গ্রামের কৃষক মওদুদ আহম্মেদ দিপু জানান, ১০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে মাঠে যেয়ে দেখেন তার তিন বিঘা জমির ১২০টি আম গাছ ধারালো অস্ত্র দিয়ে গোড়া থেকে কেটে দিয়েছে। সে সময় তিনি মাঠে থেকে আরও জানতে পারেন তার মতো কৃষক আব্দুল খালেক, আব্দুল মালেক, মুনছুর ধাবক, মুহদুল ইসলাম,আব্দুল মান্নান, ফজলুর রহমান, মনিরুল ইসলাম, মিজাক আলী, আতাউর রহমান, তাহাজ্জত আলী, তোফাজ্জেল হোসেন, আলতাফ হোসেন, আতিয়ার রহমান, আব্দুল করিম, মশিয়ার রহমান ও শাহাজান আলীর জমির আমগাছ একই ভাবে কেটে দিয়েছে। কৃষকদের ধারণা ২০/২৫জন দুর্বৃত্ত গভীর রাতে অনেক সময় ধরে এ গাছ কাটার কাজ করেছে। এ ঘটনায় এলাকায় সাধারণ চাষিদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। অনেকের ধারণা একটি কুচক্রি মহল এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করতে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। অভিযোগকারীরা জানান, বিষয়টি একটু তিয়ে দেখলে গাছ কাটা দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করা সম্ভব হবে। এ ব্যাপারে জানান জন্য ঝিকরগাছা থানায় ০১৭১৩৩৭৪১৬২ নম্বরে একাধিক বার ফোন করেও পাওয়া যায়নি। তবে শিওরদহ পুলিশ কেন্দ্রের ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, অভিযোগ পাওয়া গেছে, বিষযটি তদন্তাধীন রয়েছে। এদিকে বিষয়টিতে প্রশাসনের দ্রুত হস্তপে প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশিষ্টরা।