বাজারে ভরপুর সবজির সরবরাহ দাম কমেছে বেশ,স্বস্তিতে ভোক্তা

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরে শীতকালীন সবজির বাজার স্বাভাবিক হওয়ায় ভোক্তাদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। এ সময় মাত্র দু সপ্তাহের ব্যবধানে কোনো কোনো সবজির দাম প্রতি কেজিতে ১০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। আড়তদাররা বলছেন, প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ নেমে না আসলে আগামী ফাল্গুন মাস পর্যন্ত বাজারে সবজির ভরপুর সরবরাহ থাকবে। সেই সাথে সামনের দিনগুলোতে সবজির দাম আরও কমে আসবে। যশোরের বড় বাজার কাঁচাবাজারে বর্তমানে ভোক্তাদের চাহিদার চেয়েও বেশি পরিমাণে সবজির আমদানি হচ্ছে। দিন শেষে অবিক্রিত সবজি নিয়ে বসে থাকতে দেখা যায় দোকানিদের। সন্ধ্যার পর ক্রেতাদের ফিরাতে চান না বিক্রেতারা। যে কোনো দামে দিনের সবজি বিক্রি করে উঠতে ব্যস্ত হয়ে যান দোকানিরা। কারণ পরের দিন সকালে আবারও বাজারে ভরে যাবে টাটকা সবজির যোগানে।
গতকাল শুক্রবার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ফুলকপি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা দরে, গত সপ্তাহে ছিল ২৫ টাকা আর দু সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছিল ১০০ টাকা দরে। শিম বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ২৫/৩০ টাকা, আর দু সপ্তাহ আগে ছিল ১০০ টাকা। উচ্ছে বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ৫০ টাকা, আর দু সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছিল ৮০ টাকা। ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ৩০ টাকা, আর দু সপ্তাহ আগে ছিল ৪০ টাকা। পটল বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ৩০/৪০ টাকা, আর দু সপ্তাহ আগে ছিল ৪০ টাকা। তাছাড়া এ সপ্তাহে প্রতি কেজিতে ২০ টাকা দাম কমে টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৭০/৮০ টাকা, ১০ টাকা দাম কমে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা, ১০০ টাকা দাম কমে পেঁয়াজের কালি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা, ২০ টাকা দাম কমে গাজর বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। এদিকে বাজারে নতুন আলু ও নতুন দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। গতকাল শুক্রবার বড় বাজার মাছবাজার রোডের পাশে খুচরা সবজি বিক্রেতা সঞ্জিত সাহা জানান, তিনি নতুন আলু প্রতি কেজি ৪৫ টাকা দরে বিক্রি করছেন, গত সপ্তাহে ছিল ৭০/৮০ টাকা। মুড়িকাটা পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ৪০/৪৫ টাকায়, পুরনো দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ৫০ টাকা, আমদানি করা বড় লাল পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ৩০ টাকা, পুরনো আলু বিক্রি করছেন ৪০ টাকা, রসুন ১০০ টাকা, শুকনো মরিচ ৩০০ টাকা, আদা দেশি ১২০ টাকা ও ভারতীয় আদা বিক্রি করছেন ৬০ টাকা কেজি দরে। বড় বাজার মাছবাজার রোডের কাঁচামালের আড়ত ‘মনিরামপুর ভা-ার’ এর অন্যতম স্বত্বাধিকারী গোলাম মোস্তফা বাবলা জানান, বাজারে এখন প্রচুর সবজির সরবরাহ হচ্ছে। দামও প্রায় প্রতিদিনই কমছে। কোনো কোনো সবজি এত কম দামে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে যে চাষির পরিবহন খরচ পর্যন্ত উঠছে না। তিনি এ প্রতিবেদককে গতকাল শুক্রবার জানান, এদিন তিনি প্রতি কেজি মুলো পাইকারি দেড় টাকা, ২ টাকা ও ৩ টাকা দরে বিক্রি করেছেন, যা চাষির ভ্যান ও নসিমনে বহন খরচ উঠিনি। তিনি জানান, এমন বেশ কিছু সবজিতে বর্তমানে চাষি লোকসান গুনছেন। আড়তদার বাবলা আরও জানান, প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না ঘটলে বাজারে সবজির যোগান আগামী ফাল্গুন মাস পর্যন্ত ভরপুর থাকবে। সেক্ষেত্রে সামনের দিনগুলোতে বাজারে সবজির দাম আরও কমে আসবে বলে তিনি ধারণা করছেন।