মির্জা ফখরুলের নিন্দা : ঝিকরগাছায় হাতুড়ি পেটায় নিহত বিএনপি নেতা রবিউল ইসলামের জানাজা আজ

0

স্টাফ রিপোটার॥ যশোরের ঝিকরগাছায় হাতুড়ি পেটায় আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত বিএনপি নেতা রবিউল ইসলামের জানাজা আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯ টায় লাউজানী হাইস্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন হবে বলেও পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। রবিউল ইসলামকে হত্যার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এর আগে ময়না তদন্ত শেষে গতকাল বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে মরদেহ ঝিকরগাছায় নিজবাড়ির উদ্যেশে রওনা হয়। দিনভর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গ এলাকায় অপেক্ষা করে রবিউল ইসলামের মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে উঠিয়ে যশোরের উদ্দেশে পাঠান বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত ও কেন্দ্রীয় সদস্য সাবিরা নাজমুল। গত ৩ ডিসেম্বর থেকে ঢাকায় চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মৃত্যুবরণ করেন বিএনপি নেতা রবিউল ইসলাম।
গত ২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় লাউজানী বাজারে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে আমিনুর রহমান কটা হাতুড়ি দিয়ে পিছন থেকে সজোরে আঘাত করলে বিএনপি নেতা রবিউল ইসলাম মারাত্মকভাবে জখম হন। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুর ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে জোর করে জনগণের কাঁধে চেপে বসেছে বর্তমান আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার। তাদের দলীয় সন্ত্রাসীদের দিয়ে দমন করার হীন চক্রান্তের অংশ হিসেবে বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদেরকে ধারাবাহিকভাবে হত্যা, গুম ও নির্যাতনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। জনসমর্থন শূন্যের কোঠায় আঁচ করতে পেরেই ক্ষমতাসীনরা রাষ্ট্রীয় ও দলীয় সন্ত্রাস চালিয়ে দেশব্যাপী তান্ডব সৃষ্টির এক মহাযজ্ঞে লিপ্ত হয়েছে। আর এসব করার উদ্দেশ্যই হচ্ছে-দুঃশাসনকে দীর্ঘায়িত করা। আধিপত্য বিস্তারের জঘন্য মনোবৃত্তির কারণে ক্ষমতাসীনরা এখন জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তাই তারা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখতে চায়। রবিউল ইসলাম এর ওপর হামলা চালিয়ে তাকে হত্যার ঘটনায় আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি করছি। সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত রবিউল ইসলামের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং গভীর শোক প্রকাশ করছি। নিহতের পরিবারবর্গের প্রতি জানাচ্ছি গভীর সমবেদনা। দোয়া করি-মহান রাব্বুল আলামীন যেন রবিউল ইসলামকে বেহেস্ত নসিব এবং শোকাহত পরিবারের সদস্যদেরকে এই শোক সইবার ও ধৈর্যধারণের ক্ষমতা দান করেন।’
এদিকে বিএনপি নেতা রবিউল ইসলামের মৃত্যুর খবর পেয়ে তার লাউজানী গ্রামের বাড়িতে যান জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক যুগ্মসম্পাদক মিজানুর রহমান খাঁন, ঝিকরগাছা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোর্তজা এলাহী টিপু, যুগ্মআহবায়ক খোরশেদ আলম, শহিদুল ইসলাম, সরদার শহিদুল ইসলাম, মুরাদুন্নবী মুরাদ, সদস্য ইসমাইল হোসেন সোহাগ, পৌর বিএনপির যুগ্মআহবায়ক আরমান হোসেন কাকন, বিএনপি নেতা শফিউল্লাহ খান লিটন, আব্দুল মাজিদ, আব্দুল খালেক, রুহুল আমীন, আনোয়ার হোসেন, যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু মুসা মিন্টু, সাবেক ছাত্রনেতা মোনাজ্জেল হোসেন লিটন, নাজমুল হক নাজু, তরিকুল ইসলাম, আরাফাত হোসেন কোমল, নুরুজ্জামান বাবু, নুর রেজা শুভ্র, আমিনুর ইসলাম, আশিকুজ্জামান টিটো, জীবন চৌধুরী, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আশরাফুল আলম রানা, পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক শামিম রেজা, ঝিকরগাছাসদর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি রাসেল হোসেন, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহবায়ক ইয়ার হোসেন, কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব তানভির হাসান চয়নসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।