মনিরামপুরে চার ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিল্ড ও জরিমানা

0

স্টাফ রিপোর্টার, মনিরামপুর (যশোর) ॥ লাইসেন্স নবায়ন না করা, মেডিকেল অফিসার না থাকা, মেডিকেল অফিসারের পরিবর্তে উপসহকারি দিয়ে অস্ত্রোপচার এবং প্যাথলজিস্ট টেস্ট করানোসহ চরম অব্যবস্থাপনার দায়ে সোমবার বিকেলে যশোরের মনিরামপুর পৌরশহরে অভিযান চালিয়ে চারটি কিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিল করে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ওই চারটি প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা করে মোট দু’লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো-পৌরশহরের মোহনপুর বটতলার প্রগতি ডিজিটাল ডি-ল্যাব এন্ড রিজু হসপিটাল, নিউ লাইফ এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ডক্টরস ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও জিনিয়া প্যাথলজিক্যাল। যশোরের সিভিল সার্জন ডা. আবু শাহিনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয় বলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. অনুপ কুমার বসু নিশ্চিত করেছেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ জাকির হাসান, সিভিল সার্জন অফিসের প্রশাসনিক অফিসার আরিফুজ্জামান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. শুভ্রা রানী দেবনাথ।
ডা. অনুপ কুমার বসু জানান, সোমবার বিকেলে যশোরের সিভিল সার্জন ডা. আবু শাহিনের নেতৃত্বে পৌরশহরের মোহনপুর বটতলায় অবস্থিত প্রগতি হসপিটালে অভিযান চালানো হয়। এ সময় কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানটির কোন বৈধ কাগজপত্র প্রদর্শন করতে ব্যর্থ হন। এছাড়া মেডিকেল অফিসার ছাড়া তিনটি রোগীর অস্ত্রোপচার, স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ বিদ্যমানসহ বিভিন্ন অনিয়মের কারণে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার পর অনির্দিষ্টকালের জন্য কিনিকটি সিল করে (বন্ধ) দেয়া হয়। একই অভিযোগে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার পর সিল করে দেওয়া হয় বটতলায় অবস্থিত অপর কিনিক নিউ লাইফ এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার। পরবর্তীতে অভিযান চালানো হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে ডক্টরস ডায়াগনস্টিক সেন্টার, জিনিয়া প্যাথলজিক্যাল এবং ল্যাব সাদ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। এর মধ্যে মেডিকেল অফিসারের পরিবর্তে উপসহকারি দিয়ে প্যাথলজিক্যাল টেস্ট করানো, বৈধ কাগজপত্র প্রদর্শন করতে ব্যর্থ হওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়মের কারণে ডক্টরস ডায়াগনস্টিক এবং জিনিয়া প্যাথলজিক্যালকে ৫০ হাজার করে জরিমানার পর প্রতিষ্ঠান দুটি সিল করে দেয়া হয়। অপরদিকে ল্যাব সাদ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিল্ডিং মেরামতসহ আরো যতœশীল হওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। সর্বশেষ অভিযান চালানে হয় ব্র্যাক অফিসের সামনে মুন হসপিটালে। এ সময় নবায়নকৃত লাইসেন্স প্রদর্শন করতে ব্যর্থ হওয়ায় মুন হসপিটালের কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়। তবে প্রগতি কিনিকের মালিক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ দাবি করেন, তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি বন্ধ করা হলেও কিনিক্যাল সাইটের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়নি। তবে এ অভিযানের সর্বশেষ খবর জানার জন্য সোমবার রাতে এ রিপোর্ট লেখার সময় মুঠোফোনে বার বার কল করা হলেও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. শুভ্রা রানী দেবনাথ রিসিভ করেননি।