বাগআঁচড়ায় ব্যবসায়ী ও বিএনপির তিন নেতাকর্মীকে পিটিয়ে জখম, ভাংচুর লুট

0

শার্শা (যশোর)সংবাদদাতা ॥ যশোরের বাগআঁচড়ায় খাজনা বেশি নেয়ার প্রতিবাদ করায় তিন ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে জখম, দোকান ভাংচুর ও লুটপাট করেছে দুর্বৃত্তরা। ওই তিনজন স্থানীয় বিএনপির নেতা ও কর্মী। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে বাগআঁচড়া কাঁচাবাজারে। আহতরা হলেন বাগআঁচড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেনের পিতা বিএনপি নেতা কাসেদ আলী মেম্বর, তার বড় ভাই আলমগীর হোসেন ও ছোট ভাই যুবদল নেতা কবির হোসেন। দুর্বৃৃত্তরা সবাই স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতা ও সমর্থক এবং আওয়ামী লীগ নেতাদের ছেলে ও আত্মীয়। এ ঘটনায় সাধারণ ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতংকের সৃষ্টি হয়। মুহূর্তের মধ্যে ব্যবসায়ীরা তাদের দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেন। পরে স্থানীয় বাগআঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বাজার কমিটির সভাপতি ইলিয়াছ কবির বকুলের কাছে বিচার দাবি করেন। প্রায় ২ ঘণ্টা বাজার বন্ধ থাকার পর বিচারের আশ্বাস পেয়ে ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলেন।
স্থানীয়রা জানান, বাগআঁচড়া বাজারের বিশিষ্ট বিএনপি নেতা কাসেদ আলী মেম্বর তার দুই ছেলে আলমগীর হোসেন ও শার্শা উপজেলা যুবদল নেতা কবির হোসেনের সাথে নিয়ে তাদের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে ছিলেন। এ সময় বাজারের ইজারাদারের পক্ষে কয়েক জন যুবক খাজনা আদায় করছিলেন। এক পর্যায়ে এলাকার সোহারাব হোসেন নামে সাধারণ এক কৃষকের কাছ থেকে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করা হচ্ছিল। যা পরিমাণে প্রকৃত খাজনার দ্বিগুণ। বিষয়টি লক্ষ্য করে কাসেদ আলী মেম্বর প্রতিবাদ করেন। এসময় খাজনা আদায়কারীরাসহ ৮/১০জন লোহার রড, হকি স্টিকসহ দেশি অস্ত্র নিয়ে কাসেদ আলীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে তাকে ও তার ছেলে আলমগীর ও শার্শা যুবদল নেতা কবির হোসেনকে বেদমভাবে পিটিয়ে জখম করে। এসময় দুর্বৃত্তরা তাদের দোকান ভাংচুর করে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি এবং নগদ প্রায় ৫০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায় বলে আক্রান্তরা অভিযোগ করেছেন। দুর্বৃৃত্তরা সবাই স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতা ও সমর্থক এবং আওয়ামীলীগ নেতাদের ছেলে ও আত্মীয় হওয়ায় কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পাননি। বিষয়টি প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা। এ ঘটনার পর থেকে বাগআঁচড়া বাজারে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন মুহূর্তে সংঘর্ষ বাঁধতে পারে বলে আশংকা করছে সাধারণ ব্যবসায়ীরা। বিষয়টি জানার জন্যে ইউপি চেয়ারম্যান ও বাজার কমিটির সভাপতি ইলিয়াছ কবির বকুলের তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি রিসিভ করেননি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শার্শা থানা অফিসার ইনচার্জ বদরুল আলম খান বলেন অভিযোগ পেলে তা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।