খুলনায় চোরচক্রের আস্তানা থেকে চোরাই ইজিবাইক উদ্ধার করলো যশোরের ডিবি

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ খুলনায় চোরচক্রের মূল হোতা সুমন হাওলাদারের আস্তানা থেকে আরও একটি চোরাই নতুন ইজিবাইক উদ্ধার করেছে যশোরের ডিবি পুলিশ। সুমন হাওলাদার ও চক্রের সদস্য রাহুল হোসেনকে রিমান্ডে নেওয়ার পর তাদের স্বীকারোক্তিতে ইজিবাইকটি উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে খুলনার ওই আস্তানা থেকে ৯টি চোরাই ইজিবাইক উদ্ধার করা হলো। ডিবি পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম পিপিএমস জানান, ইজিবাইক চোরচক্রের মূল হোতা খুলনার হরিণটানা থানার কৈয়াবাজার জয়খালী এলাকার মিলু সিদকারের বাড়ির ভাড়াটিয়া সুমন হাওলাদার এবং চক্রের সদস্য যশোর শহরের ঘোপ জেল রোড বেলতলার কামাল মেম্বারের বাড়ির ভাড়াটিয়া রাহুল হোসেনকে আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে দু’দিনের রিমান্ডে নিয়েছিলেন। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে চোরচক্রের সদস্য রাহুল হোসেন জানান, মাস খানেক আগে তারা বাঘারপাড়া উপজেলার পাঠানপাইকপাড়া থেকে একটি নতুন ইজিবাইক চুরি করেছিলেন। ওই ইজিবাইক সুমন হাওলাদারকে দিয়েছেন। পরে সুমন হাওলাদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি এর সত্যতা স্বীকার করেন। এরপর গত ২ ডিসেম্বর বুধবার রাতে খুলনার হরিণটানার কৈয়াবাজার জয়খালীতে অভিযান চালিয়ে সুমন হাওলাদারের দেখানো মতে তারা চোরাই ইজিবাইকটি উদ্ধার করেন। তিনি জানান, এই ইজিবাইকের মালিক বাঘারপাড়া উপজেলার পাঠানপাইকপাড়ার শেখ লুৎফর রহমানের ছেলে শেখ শাহিন মাহমুদ। চুরি যাওয়ার কিছুদিন আগে শেখ শাহিন মাহমুদ ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা দিয়ে ইজিবাইকটি কিনেছিলেন। ডিবি পুলিশের ওই কর্মকর্তা জানান, এর আগে গত ৬ নভেম্বর তারা যশোর ও খুলনায় আলাদা অভিযান চালিয়ে মূল হোতা সুমন হাওলাদারসহ চোরচক্রের ৮ সদস্যকে আটক করেন। এ সময় সুমন হাওলদারের আস্তানা থেকে যশোর থেকে বিভিন্ন সময় চুরি যাওয়া ৮টি ইজিবাইক উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পর ওই চক্রের আরেক সদস্য রাহুল হোসেনকে যশোর থেকে তারা আটক করেন। এদিকে সুমন হাওলাদার ও রাহুল হোসেনের রিমান্ড শেষ হওয়ায় শুক্রবার তাদের আদালতে সোপর্দ করে ডিবি পুলিশ। এ সময় আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।