বারান্দীপাড়ায় যুবক ছুরিকাহত, বাড়ি ও দোকান ভাঙচুর করলো কুখ্যাত মনির গং

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গতকাল বুধবার দুপুরে যশোর শহরের পূর্ব বারান্দীপাড়ার বউবাজারে সন্ত্রাসীদের উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে ইউসুফ (২০) নামে এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ঘটনার জের ধরে পরে ইউসুফ পক্ষীয় কুখ্যাত কসাই মনির গং এলাকার দুটি বাড়ি ও একটি দোকান ভাঙচুর করে। আব্দুস সাত্তার নামে এক বৃদ্ধকেও মারপিট করেছে এই সন্ত্রাসীরা। তবে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও দুটি পক্ষের সন্ত্রাসীদের কাউকে আটক করতে পারেনি। বর্তমানে এলাকার শান্তিপ্রিয় মানুষের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।


এলাকার লোকজন জানান, ইউসুফ পূর্ব বারান্দী মাঠপাড়ার হামিদ গাজীর ছেলে। তিনি বারান্দীপাড়া বউবাজারের খাজনা আদায় করেন। বুধবার দুপুর ১২ টার দিকে তিনি খাজনা আদায়কালে বউবাজারের জনৈক আকাশের দোকানের সামনে অবস্থান করছিলেন। এ সময় বারান্দীপাড়ার ইউনুসের ছেলে রেজাউল ও শেখহাটির পেরেক আল-আমিন সেখানে গিয়ে কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই তার ওপর হামলা চালায়। তারা তাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। পরে সন্ত্রাসীরা সেখানকার একটি গলি দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন গুরুতর জখম ইউসুফকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে চিকিৎসকরা তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। ইউসুফ পক্ষীয়দের দাবি, কয়েকদিন আগে তুচ্ছ একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় দুটি পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। এর জের ধরে ইউসুফকে ছুরিকাঘাত করে প্রতিপক্ষের লোকজন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বউবাজার এলাকার একজন ব্যবসায়ী জানান, বাজারের ইজারাদার আওয়ামী লীগ আশ্রিত কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও অস্ত্র মামলার আসামি মনির। তার পক্ষে বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে খাজনা আদায় করেন ইউসুফ। তবে কী কারণে সন্ত্রাসীরা তাকে ছুরিকাঘাত করেছে তা ব্যবসায়ীরা জানেন না। তবে ওই ঘটনার পর মনির গংয়ের সদস্য ইসমাইল, জাহিদুল, তুহিন, মন্ডল, আরমান, নান্টু ও মালো রনিসহ একদল সন্ত্রাসী এলাকায় প্রতিপক্ষ রানা ও রুবেলের বাড়িঘর ভাঙচুর করে। বাড়ির পাশে রানা’র স্ত্রী রোমেনার একটি পান বিড়ির দোকান রয়েছে। সন্ত্রাসীরা ওই দোকানও ভাঙচুর করে। বাধা দেওয়ায় সন্ত্রাসীরা রানা’র বৃদ্ধ পিতা আব্দুস সাত্তারকে মারপিট করে। রানা’র পিতা আব্দুস সাত্তার জানান, তার ছেলে রানা একসময় মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলো। সে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করার পর বর্তমানে স্বাভাবিক জীবনযাপন করছে। কিন্তু কেন তাদের বাড়ি ও দোকানে হামলা চালানো হলো তা তিনি জানেন না। এ ব্যাপারে সদর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইনসপেক্টর তুষার কুমার মন্ডল জানান, খবর পেয়ে তাদের পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে কী কারণে ইউসুফকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে তা তারা জানতে পারেননি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাড়ি ভাঙচুরের খবর তারা জানেন না। তবে সন্ত্রাসীরা একটি দোকান ভাঙচুর করেছে।