আদালতে মামলা,তদন্তের আদেশ পিবিআইকে : অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও স্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগ

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অন্তরঙ্গ মুহূর্তের দৃশ্যের ধারণ করা ভিডিও স্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে জিৎ হোসেন ওরফে বিশ্বজিৎ দেওয়ান নামে একজন গ্রাম্য চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। কিন্তু চাঁদা না পেয়ে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ওই ভিডিও সোস্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেওয়ায় গতকাল বুধবার যশোরের আদালতে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন স্ত্রী। পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করা হয়। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. সাইফুদ্দীন হোসাইন অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) আদেশ দিয়েছেন। অভিযুক্ত জিৎ হোসেন ওরফে জিৎ দেওয়ান খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার রঘুনাথপুর দেওয়ানপাড়ার নলিনী দেওয়ানের ছেলে। অপরদিকে ভুক্তভোগী নারীর বাড়ি খুলনার ফুলতলার শিরোমনি এলাকায়। তবে বর্তমানে তিনি যশোর শহরের পুরাতন কসবা এলাকায় বসবাস করছেন। ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগে জানা যায়, আসামি জিৎ পেশায় একজন গ্রাম্য চিকিৎসক। ওই নারী অসুস্থ হলে তার কাছে চিকিৎসার জন্য যান। তার কাছে যাতায়াতের এক পর্যায়ে দুজনের মধ্যে প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু জিৎ ছিলেন হিন্দু। পরে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে তিনি ২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর ওই নারীকে বিয়ে করেন। এরই মধ্যে জিৎ গোপনে স্বামী-স্ত্রীর বিশেষ অন্তরঙ্গ মুহূর্তের দৃশ্য ভিডিও ধারণ করেন। এরপর জিৎ কোনো কারণ ছাড়াই স্ত্রীর সাথে খারাপ ব্যবহার করতে থাকেন। পূর্বের সনাতন ধর্মে ফিরে যাওয়া এবং স্ত্রীকে ত্যাগ করার হুমকি দিয়ে তিনি গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বাড়ি থেকে চলে যান। এ ঘটনার পর থেকে তিনি স্ত্রীকে মোবাইল ফোনে নানা ধরণের হুমকি দিতেন। এক পর্যায়ে তিনি স্ত্রীর কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। কিন্তু ওই নারী চাঁদার টাকা না দেওয়ায় গত ৫ অক্টোবর জিৎ তার (বাদী) ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে ধারণ করা ভিডিও পাঠিয়ে দেন। এরপরও নারী টাকা না দেওয়ায় জিৎ ফেসবুকে একাধিক ফেক আইডি খুলে তাতে এবং ইমোতে সেই ভিডিও ভাইরাল করে দেন। এ কারণে ওই নারী লোকলজ্জায় বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।