বটিয়াঘাটায় সন্তান হত্যায় আদালতে মায়ের স্বীকারোক্তি #মামলায় পরকীয়ার অভিযোগ স্বামীর

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার ফুলতলা গ্রামে পুলিশ সদস্যের পুত্র অনুভব কুমার মণ্ডল যশকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন মা তনুশ্রী মণ্ডল। বুধবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে ১৬৪ ধারায় মায়ের জবানবন্দি রেকর্ড করেন খুলনা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক নয়ন বিশ্বাস। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বটিয়াঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত উজ্জল কুমার দত্ত বলেন, হত্যাকাণ্ডে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন নিহতের মা তনুশ্রী মণ্ডল। আদালত এ সব তথ্য ১৬৪ ধারায় রেকর্ড করেছেন। তদন্তের স্বার্থে এসব তথ্য এখনই প্রকাশ করা সম্ভব নয়। এজাহারনামীয় আসামি নিহত শিশুর কাকা অনুপ মণ্ডলকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। রিমান্ড শেষে হত্যাকাণ্ডের মূল মোটিভ প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা।


উল্লেখ্য, বটিয়াঘাটা উপজেলার ফুলতলা গ্রামের অমিত মণ্ডল ঢাকার বাড্ডা থানায় এএসআই পদে কর্তব্যরত। স্ত্রী তনুশ্রী মণ্ডল ও একমাত্র পুত্র সন্তান জসকে (৫) নিয়ে তিনি ঢাকায় থাকতেন। গত ২৯ নভেম্বর রাত ৮টার দিকে তনুশ্রী ও তার শিশু পুত্র জস রাস পূজা উপলে ফুলতলার গ্রামে বেড়াতে আসেন। ৩০ নভেম্বর সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে শিশু জস মণ্ডলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় শিশু জসের কাকা অনুপ মণ্ডল পাশে বসে ছিলেন। ৫ বছরের শিশু যশকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

যশের বাবা এএসআই অমিত মন্ডল বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। এজাহারে বলা হয়েছে, ‘২০১৫ সালে আমার বড় ভাই অনুপ মন্ডল আমার স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে ব্যর্থ হয়ে বিভিন্ন সময় আমার স্ত্রী ও সন্তানের তি করার চেষ্টা করেছে। আমার ধারণা, আমার বড় ভাই ও আমার সন্তানের কাছাকাছি যারা ছিল তারা পরস্পরের যোগসাজশে তার গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে।’ এতে আরও উল্লেখ করেন, ২০১৫ সালে তার স্ত্রীর সঙ্গে বড় ভাই অনুপ মন্ডলের অবৈধ সম্পর্কের বিষয়টি জানাজানি হলে তিনি স্ত্রীকে নিয়ে কর্মস্থলের পাশে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বটিয়াঘাটা থানার ওসি (তদন্ত) উজ্জল কুমার দত্ত বলেন, অনুপ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ১০ দিনের রিমাণ্ড আবেদন করা হয়েছিল। শুনানি শেষে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরকীয়ার জের ধরে হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। ঘটনার পেছনে পারিবারিক কলহ বা তৃতীয় কোনও ব্যক্তি আছে কিনা তা সামনে রেখে তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২৯ নভেম্বর বটিয়াঘাটা উপজেলার ফুলতলা গ্রামে রাস উপলে স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে বেড়াতে আসেন এএসআই অমিত। পরদিন ৩০ নভেম্বর সকালে যশের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।