সরকারের প্রতি গয়েশ্বর রায়ের কড়া হুঁশিয়ারি

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, জিয়াউর রহমানের নামফলক বদলানোর পরিণতি শুভ হবে না। বুধবার (০২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীতে এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে পুরান ঢাকার মোগলটুলিতে জিয়াউর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করার প্রতিবাদে এই মানববন্ধন হয়। তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান একটি ইতিহাস। এদেশের জন্ম একটি যুদ্ধের ইতিহাসের মধ্য দিয়ে, রক্ত বিসর্জন দিয়ে। যাদের রক্তে লেখা এই স্বাধীনতা, তাদেরকে রক্তকে অপমান করার দুঃসাহস দেখাবেন না।’
ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের উদ্দেশ্য করে গয়েশ্বর বলেন, ‘প্রতিহিংসা বাদ দেন। কম তো খান নাই। এগুলো শেষ করতে যতটুকু হায়াত দরকার, আল্লাহ এতো হায়াত দেয় নাই। বাংলাদেশকে তো আপনি শেষ করে দিয়েছেন। এসব খেতেও পারবেন না, কবরে নিয়েও যেতেও পারবেন না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আদর্শ-চেতনা-দেশপ্রেমে জিয়াউর রহমান, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে জিয়াউর রহমান, গণতন্ত্রে জিয়াউর রহমান, উৎপাদনে জিয়াউর রহমান। তাকে সহ্য করতে আপনারা (আওয়ামী লীগ) পারবেন না। তাকে ইচ্ছা করলে আড়াল করা যায় না।’ ‘রাষ্ট্রের টাকা খরচ করে যত স্মৃতিসৌধ, কত কিছু বানাচ্ছেন। সেগুলো রক্ষার স্বার্থে হলেও ইতিহাসে হাত দেবেন না। যে যেখানে আছে রাজনৈতিক কারণে, ঐতিহাসিক কারণেই জাতির সামনে তারা এখানে আছে। তাদেরকে থাকতে দিন, তাদের নাম রাখতে দিন। মানুষের হৃদয়ে আঘাত করলে সেই আঘাতের পাল্টা আঘাত আসবে তখন কোনো ক্ষমতাই টিকিয়ে রাখতে পারবে না।’ খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গে গয়েশ্বর বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের আজকে কিছুই নাই, কিছু রেখে যান নাই। বাংলাদেশে খালেদা জিয়ার চেয়ে আর গরীব কেউ নাই। নিজের একটা বাড়ি নাই। ভাড়া বাড়িতে থাকেন। প্রায় নোটিশ পায়। ভাড়া পরিশোধ করা যায় না।’ ‘দুর্নীতি দমন কমিশন খালেদা জিয়ার যা উপার্জন, যা সম্পদ আছে বৈধভাবে সার্টিফিকেট দিয়েছেন। তাহলে তার একাউন্ট সিজ করে কেনো? কেনো তিনি একাউন্ট থেকে ৫০ হাজার টাকার বেশি তুলতে পারেন না। ঢাকা শহরে একজন নেত্রীর ৫০ হাজার টাকায় কীভাবে চলে, কীভাবে তার চিকিৎসা চলে?’ স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তা্রিফজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েলের পরিচালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরফত আলী সপু, আজিজুল বারী হেলাল, খন্দকার মারুফ হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সুলতান মো. নাসির উদ্দিন, আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল, রফিক হাওলাদার, ইয়াসীন আলী, সাদরেজ জামান প্রমুখ।