থানায় ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা, আটক দুই : মাটি ও ধান বহণের ট্রলি থেকে চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় হামলা, আহত ৩

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরে মাটি ও ধান বহনের ট্রলির চালকের কাছ থেকে টাকা আদায়ের প্রতিবাদ করায় একটি চক্রের হামলায় একই পরিবারের ৩ জন আহত হয়েছেন। গত সোমবার সদর উপজেলার ডাকাতিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত দুজনকে মঙ্গলবার সকালে আটক করে। আটক দু’জনসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় মামলা করেছেন ডাকাতিয়া দক্ষিণপাড়ার মৃত মোশাররফ হোসেনের ছেলে মাসুদ রানা।  আসামিরা হলেন ডাকাতিয়া দক্ষিণপাড়ার মৃত করিম মোল্যার ছেলে নজরুল ইসলাম (৬৫) ও মফিজুর রহমান (৫৭), নজরুল ইসলামের ছেলে খলিল (৩৫), বিল্লাল (৪৩) ও ছোটমনি (৩২), মফিজুর রহমানের ছেলে হাবিবুর রহমান (৩২), রুবেল (২৮) ও শান্ত (২৬), বিল্লালের ছেলে বাপ্পী (২০) ও স্ত্রী রিজিয়া বেগম (৩৭) এবং হাবিবুর রহমানের স্ত্রী রিমা বেগম (২৫)।
মামলার বাদী মাসুদ রানার অভিযোগ, সদর উপজেলার নুরপুর গ্রামের আসলাম হোসেন (৫৫) নামে এক ব্যক্তি তার সঙ্গীদের নিয়ে ডাকাতিয়া দক্ষিণপাড়ায় ট্রলিতে বিভিন্ন লোকজনের মাটি ও ধান বহনের কাজ করে থাকেন। কিন্তু মাস খানেক হলো আসামি নজরুল ও খলিল সহযোগীদের সাথে নিয়ে প্রতি ট্রলার থেকে বিভিন্ন অংকের টাকা আদায় শুরু করেছেন। ফলে এ ঘটনার প্রেক্ষিতে আসলাম হোসেন ও তার সঙ্গীরা হঠাৎ ডাকাতিয়া দক্ষিণপাড়ায় মাটি ও ধান বহনের কাজ বন্ধ করে দেন। সেই সাথে তারা বাদীর ভাই আসাদুজ্জামান আনুসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করেন। এ কারণে আসাদুজ্জামান আনু আসামি খলিলকে অন্যায়ভাবে ট্রলিচালক আসলাম হোসেন ও সঙ্গীদের কাছ থেকে টাকা নিতে নিষেধ করেন। এরই জের ধরে গত সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে আসামি খলিল একই এলাকার লিটনের দোকানের সামনে তাকে পেয়ে মারপিট ও তার হাত কামড়ে দেন। এ ঘটনার পর রাত সাড়ে সাতটার দিকে আসাদুজ্জামান আনুর মুদি দোকানে হামলা চালিয়ে ফের তাকে মারপিট করেন আসামি নজরুল, মফিজুর, খলিল ও শান্ত। তারা তার দোকানের ক্যাশবাক্স থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা লুটও করে নেন। অপরদিকে আসামি বিল্লাল, ছোটমনি, হাবিবুর, রুবেল, বাপ্পী, রিজিয়া ও রিমা বাদীদের ঘরে ঢুকে আসবাবপত্র তছনছ করেন। এ সময় বাদীর মা সুফিয়া বেগম (৫৫) নামাজ আদায় করছিলেন। এ অবস্থায় তাকে মারপিট করেন আসামিরা। বাধা দেওয়ায় আসামিরা বাদীর বোন নাছিমা আক্তারকেও (৩৫) মারপিট করেন। পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার ওই ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হলে সকালে আসামি বিল্লাল ও শান্তকে তারা আটক করেছে। পরে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।