স্বামী থাকা সত্বেও যুবককে অপহরণ করে বিয়ে করলেন নারী, মামলায় অভিযোগ

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর বাঘারপাড়ার শিমুল হোসেন নামে এক যুবককে রাজধানী ঢাকা থেকে অপহরণ করে জোর করে বিয়ের অভিযোগে মঙ্গলবার আদালতে মামলা হয়েছে। কুড়িগ্রামের কচাকাটা উপজেলার মধ্যখামার গ্রামের ফরিদা পারভীন ও তার পিতা আব্দুল খালেককে আসামি করে মামলাটি করেছেন শিমুল হোসেন নিজেই। যশোরের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. মঞ্জুরুল ইসলাম অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে আদেশ দিয়েছেন। বাঘারপাড়া উপজেলার হিংগারপাড়া গ্রামের রজব আলীর ছেলে শিমুল হোসেনের অভিযোগ, তিনি ঢাকার হাজারীবাগ থানার হাতেমবাগের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। সেখানে আসামি ফরিদা তার রান্নার কাজ করতেন। এ সময় আসামি ফরিদা নিজেকে অবিবাহিত দাবি করেন এবং শিমুলকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু শিমুল বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। এর প্রেক্ষিতে ফরিদা ২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে হাজারীবাগ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মিথ্যা মামলা করেন। পরে তিনি তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিয়ে করার জন্য চাপও দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি ফরিদা ও তার পিতা আব্দুল খালেক এলাকার সন্ত্রাসীদের দিয়ে জোরপূর্বক শিমুলকে ধরে নিয়ে যান। তারা তাকে একটি কাজী অফিসে নিয়ে জোর করে বিয়ের কাগজপত্রে স্বাক্ষর করিয়ে নেন। বলা হয়, ফরিদাকে শিমুল বিয়ে করেছেন। ফলে বাধ্য হয়ে ফরিদাকে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দেন শিমুল। কিন্তু পরে শিমুল জানতে পারেন, ফরিদার এর আগে আরও তিনটি বিয়ে হয়েছে। তার ১১ বছরের একটি সন্তান রয়েছে। তাছাড়া তৃতীয় স্বামীকে তালাক না দিয়েই ফরিদা শিমুলকে বিয়ে করেছেন। এ কারণে ফরিদার প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা পেতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন বাদী শিমুল।