সমস্যায় জর্জরিত শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসকদের ২০টি পদে আছেন তিন জন

0

মনিরুল ইসলাম মনি, শার্শা(যশোর) ॥ যশোরের শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটি নানান সমস্যায় জর্জরিত রয়েছে। চিকিৎসকদের ২০ টি পদের বিপরীতে রয়েছে মাত্র তিনজন। পর্যাপ্ত জনবলের অভাবে রোগীরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। গোটা হাসপাতাল জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ময়লা আর্বজনা। দুর্গন্ধে রোগীরা টিকতে পারছে না । কমপেক্সটির এক মাত্র এ্যাম্বুলেন্সটিও দীর্ঘদিন ধুঁকে ধুঁকে চলছে।
সূত্রে জানাগেছে, শার্শা উপজেলার এক মাত্র সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটি অন্তহীন সমস্যায় জর্জরিত। জুনিয়ার কনসালটেন্টের ১০টি পদের মধ্যে সব কয়টি পদই শূন্য। মেডিকেল অফিসারের ১০টির মধ্যে আছে মাত্র ৩টি। ফলে সকাল ৯টায় আসা রোগী দুপুর পর্যন্ত পাচ্ছেন না কোন সেবা। ১০ বছর ধরে একটি মাত্র অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে কাজ চলানোর চেষ্টা চলছে। অ্যাম্বুলেন্সটি প্রায়শই অচল হয়ে পড়ে। এতে প্রতিনিয়ত রোগীদেরকে পড়তে হয় বিপাকে। ময়লা আর্বজনা ও দুর্গন্ধে হাসপাতালে টিকতে পারছে না সেবা নিতে আসা রোগীরা। যেখানে সেখানে পড়ে আছে রোগীর ব্যবহৃত গজ-ব্যান্ডেজসহ অন্যান্য উপকরণ। হাসপাতালে কর্মরত কর্মচারী এবং রোগীদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা না থাকার কারণে করোনা ঝুঁকির মধ্যে মাস্ক বিহীন অবস্থায় চলছে সকল কার্যক্রম। সেবা নিতে আসার রবিউল ইসলাম বলেন, এই হাসপাতালে এত পরিমান নোংরা যে সুস্থ মানুষও অসুস্থ হয়ে পড়ছে। যেখানে সেখানে ময়লা আর্বজনা ফেলে রাখছে এবং সেখানেই রোগীর চিকিৎসা দিচ্ছে ডাক্তারা। শার্শা উপজেলায় একটি হাসপাতাল কিন্তু অসুস্থ রোগী এবং আমরা যারা রোগীর সাথে আসি দুর্গন্ধে আমরাও অসুস্থ হয়ে পড়ি। অসুস্থ মাকে নিয়ে আসা টুমপা খাতুন বলেন, সকাল ৯টার সময় রোগী নিয়ে হাসপাতালে এসেছি, সাড়ে ১২টা বাজতে গেছে এখনও আমার রোগী দেখলো না। সেবা নিতে এসে আমরা সেবা পাচ্ছি না। অ্যাম্বুলেন্স চালক মো. সাদেক হোসেন বলেন, এই হাসপাতালে একটা গাড়িী একজনই ড্রাইভার, এ্যাম্বুলেন্সটা প্রায় ১০ বছর ধরে চলছে। গাড়িটার অবস্থা খুবই খারাপ। একটা মুমূর্ষ রোগী নিয়ে দ্রুত হাসপাতালে পৌছানো যায় না। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্ব শীল কর্মকর্তা ডা. ইউসুফ আলী জানান, দীর্ঘদিন ধরে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগ বন্ধ আছে। এই মুহূর্তে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী প্রয়োজন। তা না হলে ময়লঅ আবর্জনা সাফ করানো যাচ্ছে না। আর এখানে জুনিয়ার কনসালটেন্ট ও মেডিকেল অফিসার থাকলে আরও বেশি সেবা প্রদান করা যেত।