যশোরে স্বেচ্ছাসেবক দলের সমাবেশে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত : আদর্শ দর্শন ও কর্মকাণ্ডের মধ্যে জিয়াউর রহমান চিরদিন বেঁচে থাকবেন

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেছেন, একটি বিদ্যালয় থেকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নাম মুছে দিলেও কোটি কোটি জনতার হৃদয় থেকে মুছে ফেলা যাবে না। তিনি দেশের ১৬ কোটি মানুষের হৃদয়ের স্পন্দন। যতদিন বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র থাকবে, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব থাকবে, ততদিন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকবেন। রাজধানীর মোঘলটুলি এলাকায় দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক শহীদ জিয়াউর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে গতকাল মঙ্গলবার যশোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত আরও বলেন, নাম পরিবর্তন ও ইতিহাস বিকৃত করাই হলো আওয়ামী লীগের ঘৃন্য ও নগ্ন চরিত্র। তারই ধারাবাহিকতায় তারা শহীদ জিয়াউর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করেছে। এভাবে নাম পরিবর্তন করে তার অবদানকে ম্লান করা যাবে না। যিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে রণাঙ্গণে যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। আজ যে আওয়ামী লীগ জিয়াউর রহমানকে নিয়ে ঘৃন্য ষড়যন্ত্রে মত্ত ১৯৭৫ সালের পট পরিবর্তনের পর তিনিই আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছিলেন। সদ্য স্বাধীন দেশের বিপন্ন গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ফিরিয়ে এনেছিলেন। বর্তমানে আওয়ামী লীগ যে উন্নয়নের কথা বলেন, জিয়াউর রহমান সেই উন্নয়নের শুভ সূচনা করেছিলেন। তিনি দেশে কৃষি খাতে বিপ্লব ঘটিয়ে গার্মেন্টস শিল্প প্রতিষ্ঠা, মানবসম্পদ রপ্তানির মধ্য দিয়ে দেশের উন্নয়নের সূচনা করেন। আওয়ামী
লীগ যতই উন্নয়নের কথা বলুক, জনগণ জানে উন্নয়নের সব কৃতিত্বের দাবিদার শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। নাম পরিবর্তন ও ইতিহাস বিকৃতির মধ্য দিয়ে জিয়াউর রহমানকে মুছে ফেলা যাবে না। তিনি তার আদর্শ, দর্শন ও কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে চিরদিন বেঁচে থাকবেন। বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুস সালাম আজাদ, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আজম, জেলা যুবদলের সভাপতি এম তমাল আহমেদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আলী হায়দার রানা, জেলা ছাত্রদলে সভাপতি রাজিদুর রহমান সাগর, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাপ্পি, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি মিজানুর রহমান মিলন, সহসাধারণ সম্পাদক জিয়াউর হক জিয়া, স্বেচ্ছসেবক দলনেতা রফিকুল ইসলাম। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সিরাজুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম চৌধুরী মুল্লুক চাঁদ, জেলা কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ মকবুল হোসেন, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি এহসানুল হক মুন্না, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আনছারুল হক রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক কবির হোসেন বাবু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা মোস্তফা তরফদার রয়েল প্রমুখ। বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহসভাপতি নির্মল কুমার বিট এবং পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আমির ফয়সাল।